কাঞ্চনজঙ্ঘা। —ফাইল চিত্র।
খারাপ রাস্তা আর ধসের কারণে পাহাড়ে যেতে গিয়ে প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় পর্যটকদের। তা নজরে রেখেই এ বার বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে প্রশাসন। সিকিমের মতো দার্জিলিং, কালিম্পঙেও চালু হতে চলেছে হেলিকপ্টার পরিষেবা। যার ফলে কপ্টারে করে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতেই পাহা়ড়ে পৌঁছতে পারবেন পর্যটকেরা। জিটিএ সূত্রে খবর, এর জন্য ইতিমধ্যেই হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। সংস্কার করা হচ্ছে মিরিকের পুরনো হেলিপ্যাডটি। এ ছাড়াও নতুন দু’টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে দার্জিলিঙের দুতেরিয়া এবং কালিম্পঙের ডেলোয়। নতুন বছরের আগেই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা। ফলে শীঘ্রই কপ্টারে চেপে পাহাড় দর্শন চালু হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রায় দু’দশক আগে দার্জিলিং-গোর্খা হিল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই চেষ্টা করেছিলেন সুবাস ঘিসিং। কিন্তু সেই সময় সুখিয়াপোখরি ব্লকের দুতেরিয়াতে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ বার সেখানেই হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিরিকে আগে থেকেই একটি হেলিপ্যাড ছিল। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে যাত্রা সফল হয়েছে। ফলে পরিষেবা শুরু করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তবে এই পরিষেবায় খরচ কত হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা বলেন, ‘‘প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগবে না। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষও করা হবে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের আকাশপথে যোগাযোগ ঘটবে।’’ পাহাড়ে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হলে পর্যটন শিল্প উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সিকিম আগেই হেলিকপ্টার পরিষেবায় নজর দিয়েছে। পর্যটকদের নিয়ে সিকিমের এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে ওঠানামা করে হেলিকপ্টার। দার্জিলিং-কালিম্পঙেও সেই পরিষেবা চালু হলে পর্যটনের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজও করা যাবে।