দক্ষিণেশ্বরে তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক। —নিজস্ব চিত্র।
স্কাইওয়াক তৈরির জন্য দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে মন্দিরে যাওয়ার সরাসরি রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। দু’বছরেরও বেশি সময় পরে আজ, শনিবার সেই রাস্তা দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। মূলত, ১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াক চালু হবে আগামী বছরের এপ্রিলে, বাংলা নববর্ষের আগে।
দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেশের মধ্যে প্রথম এই স্কাইওয়াক তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে নিয়োগ করা হয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইট্সের হাইওয়ে বিভাগকে।
কেএমডিএ এবং রাইট্স সূত্রের খবর, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হয়। ৬৩ কোটি টাকার এই আধুনিক রাস্তা তৈরির কাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখনও চারটি লিফ্ট, চারটি চলমান সিঁড়ি এবং স্কাইওয়াকে ওঠার সাতটি লোহার সিঁড়ি তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি ইঞ্জিনিয়ারদের।
এই নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের বক্তব্য, ১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবের দিন প্রচুর ভক্ত কাশীপুর উদ্যানবাটীতে যান। সেই সঙ্গে তাঁরা যান দক্ষিণেশ্বর এবং বেলুড় মঠেও। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের রাস্তায় কাজের জন্য গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য রাস্তা দিয়ে। নীচের রাস্তা খানা-খন্দে ভর্তি ছিল। সেই রাস্তা মেরামত করে পিচ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে সেটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।