কামদুনি হাইস্কুলের শিক্ষিকা আরতি পাল। তাঁর বাড়িতেই লুঠপাট হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
কামদুনি মামলার শাস্তি ঘোষণার আগের রাতে বারাসতে কামদুনি হাইস্কুলের এক শিক্ষিকার বাড়িতে চলল অবাধ লুঠপাট।
কামদুনি হাইস্কুলের শিক্ষিকা আরতি পাল বারাসতের কাজিপাড়ার অম্বিকা সিটির বাসিন্দা। ছেলে অরিদীপকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল রাতে ঘুমোচ্ছিলেন আরতিদেবী। রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁদের বাড়ির দু’টি দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে ৭-৮ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। আরতি দেবীর বয়ানে ‘‘হঠাত্ ঘরের লাইট জ্বলে ওঠায় ঘুম ভেঙে যায় আমার। দেখি ঘরের মধ্যে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে কয়েক জন। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে দেয়। ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে ওরও হাত মুখ বেঁধে দেয়। বলে চিত্কার করলেই খুন করে দেবে।’’
এক নিকট আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে আরতি দেবী কিছু দিন আগেই ব্যঙ্কের লকার থেকে বেশ কিছু সোনার গয়না বাড়িতে এনে রেখে ছিলেন। তাঁর থেকে চাবি ছিনিয়ে সেই সব গয়নাই লুঠ করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে নিয়েছে নগদ ১২ হাজার টাকাও।
পড়ুন
হুমকির সুর উধাও, চোখের জলই আশ্রয় ছয় আসামির
দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর আরতি দেবীদের চিত্কারে প্রতিবেশীরা জড় হন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আপাতভাবে কামদুনির সাজা ঘোষণার সঙ্গে কামদুনি হাইস্কুলের শিক্ষিকার বাড়িতে হামলার কোনও সম্পরিক খুঁজে পায়নি পুলিশ। সাজা ঘোষণার ঠিক আগের রাতের এই ঘটনা নেহাতই কাকতালীয় বলেই মনে হয়। তবু সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।