দিঘায় ঠাকুরদাস। নিজস্ব চিত্র
স্বাধীনতার দিন সাইকেলের প্যাডেলে পা দিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন বছর সাতান্নের ঠাকুরদাস শাসমল। উদ্দেশ্য— মরণোত্তর অঙ্গদান দানের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। ৫৮ দিন ধরে বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে সম্প্রতি তিনি পৌঁছেছেন দিঘায়।
মৃত্যুর পরে চোখ, যকৃত, হৃদপিণ্ডের মতো অঙ্গ দান করলে তা দিয়ে বহু মানুষ প্রাণে বাঁচতে পারেন, এই বিষয়টি মাথায় ঘুরছিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা ঠাকুরদাসের মাথায়। ছোট থেকেই সাইকেল চড়া তাঁর শখ। তখনই মাথায় আসে সাইকেলে ঘুরে মরণোত্তর অঙ্গদানের বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালালে কেমন হয়! যেমন ভাবা, তেমন কাজ। গত ১৫ অগস্ট নিজের বেরিয়ে পড়েন ঠাকুরদাস। দিঘা আসার আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে মোট পাঁচ হাজার সাতশো কিলোমিটার পথ পেরিয়েছেন তিনি। দিঘায় পৌঁছে বুধবার সকাল থেকেই সাইকেলে চেপে পর্যটকদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছেন ঠাকুরদাস। পেশায় কৃষক ঠাকুরদাস জানিয়েছেন হাওড়ার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। তিনি বলেন, “পরিবার, বন্ধুরা অভিযানে
পাশে রয়েছেন।’’