দিঘায় সমুদ্রস্নানের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
অগ্রিম বুকিংয়ে এগিয়ে ছিল মন্দারমণি। কিন্তু পুজো শুরু হতেই ভিড়ে ছাপিয়ে গেল দিঘা।
পুজোর ছুটিতে সৈকত শহর দিঘার হোটেল-লজে আগাম বুকিং সে ভাবে হয়নি। আশঙ্কায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোমবার ষষ্ঠীতেই প্রচুর পর্যটক দিঘায় এসেছেন। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘রবি-সোম মিলিয়ে ৫০ শতাংশ হোটেলের ঘর বুক হয়ে গিয়েছে। সপ্তমীতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা।’’ ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক দেবব্রত দাসের কথায়, ‘‘আবহাওয়া মনোরম। পর্যটকেরা চুটিয়ে সমুদ্র স্নান উপভোগ করছেন। আসলে, যাঁরা কলকাতার ভিড়ে মণ্ডপ দেখতে আগ্রহী নন, তাঁরা সপরিবার দিঘা আসছেন।’’
ওল্ড দিঘায় বিশ্ব বাংলা উদ্যান চত্বরে এ দিন পর্যটকের মেলা বসে গিয়েছিল। একাধিক ঘাটে জলে পর্যটকদের জন্য নানা বিনোদনমূলক বন্দোবস্ত ছিল। অসম থেকে সপরিবার বেড়াতে এসেছেন পারমিতা বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘কোভিডের কারণে কলকাতার ভিড় একেবারে পছন্দ নয়। তাই দিঘা চলে এসেছি। তবে এখানেও যা ভিড়, তাতে মাস্ক পরা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছি না।’’
মন্দারমণিতে ১১২টি হোটেল-লজের ঘরও অধিকাংশ পূর্ণ। বিপুল সংখ্যক পর্যটক থাকায় করোনা বিধি নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘পর্যটকদের সচেতন করার পাশাপাশি হোটেল মালিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।’’