বিধানসভা ভোটের আগে গত শীতে কৃষক সভার জাঠা করে জেলায় জেলায় সংগঠনকে কিছুটা চাঙ্গা করতে পেরেছিল সিপিএম।
দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে থাকা দলীয় কার্যালয়ের তালা আবার খুলেছিল। আরামবাগ, গোঘাট, ঘাটাল, ক্ষীরপাই বা কেশপুরের মতো ‘সন্ত্রাস কবলিত’ এলাকায় আবার বাম মিছিলের পথে রাস্তায় লোক চোখে পড়েছিল। এ বার হেমন্তে ফের সেই কিষাণ জাঠায় ফিরছে সিপিএম। বিজেপি মোকাবিলার নামে সর্বভারতীয় জাঠা হলেও মূল লক্ষ্য সেই সংগঠনকে রাস্তায় নামানোই।
বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতি এবং কৃষকদের দুর্দশার প্রতিবাদে কৃষক সভার আয়োজনে জাঠা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কেরলের মতো রাজ্যে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাঠা এসে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন দিল্লির রামলীলা ময়দানে বড়স়়ড় জমায়েত হবে আগামী ২৪ নভেম্বর। দেশ জু়ড়ে এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই অসম ও ওড়িশা থেকে দু’টি জাঠা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। উত্তর-পূর্বের জাঠাটি উত্তরবঙ্গের জেলায় পরিক্রমা করবে। ওড়িশা থেকে আসা জাঠা দুই মেদিনীপুর হয়ে কলকাতা ঘুরে বর্ধমান পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে যাবে। সর্বভারতীয় জাঠার সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্যই জেলায় জেলায় স্থানীয় স্তরে মিছিল ও ছোট ছোট সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক সভা।
সিপিএমের এক পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, ‘‘বিজেপি-র আর্থিক নীতি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদ একসঙ্গে করতে চেয়েই সর্বভারতীয় এই জাঠা। বাংলার জেলায় জেলায় জাঠা যাওয়ার সময়ে স্থানীয় পরিস্থিতিও সেখানে তুলে ধরা হবে। জাঠায় জনসংযোগ ভাল হয়।’’ বাংলায় যেমন বিজেপি এবং তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে রেখে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ করছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বৃহস্পতিবারই মন্তব্য করেছেন, ‘‘যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করতো, সেই অপরাধীদের প্রতি কখনও দুর্বলতা দেখায়নি বামফ্রন্ট সরকার। এখন মুখ্যমন্ত্রী কেন এই অপরাধীদের দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন?’’