CPM

‘হেলিকপ্টার আর টোটোর লড়াই’! সিপিএম প্রার্থীদের বৈঠকে উঠল অর্থশক্তি ও ‘ফোঁপরা’ সংগঠনের প্রসঙ্গ

লোকসভায় দলের প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থীদের সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব ডেকেছিল তাঁদের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য। সেই বৈঠকেই উঠে এসেছে অসম লড়াইয়ের কথা। সর্বক্ষেত্রেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ২২:২৯
Share:
CPM leadership heard the experiences of the candidates

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

কেন এমন ফল? বাংলায় কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নে ভোটে লড়া প্রার্থীদের একসঙ্গে বৈঠকে ডেকে মতামত জানতে চেয়েছিল সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। উঠে এল লোকবল থেকে অর্থবল— সর্বক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শক্তির সঙ্গে বড়সড় ফারাকের কথা। প্রায় সকলের বক্তব্যেই।

Advertisement

বাংলায় ভোটের আকাশে এ বার ‘পাখির মতো’ হেলিকপ্টার উড়েছিল। মূলত তৃণমূল এবং বিজেপির নেতারাই কপ্টারে করে প্রচার করেছেন। সিপিএম, কংগ্রেস সেই তালিকায় ছিল না। সিপিএম, কংগ্রেসের সেই আর্থিক বলও নেই রাজ্যে। শনিবার আলিমু্দ্দিন স্ট্রিটে সিপিএম প্রার্থীদের বৈঠকে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। পাশাপাশি, নেতাদের সামনে প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নিচুতলায় সংগঠনের দৈন্যদশার বিষয়টিও।

সিপিএম সূত্রে খবর, এক প্রার্থী বৈঠকে বলেন, ‘‘হেলিকপ্টারের সঙ্গে টোটোর লড়াই হয়েছে। আমরা পারিনি।’’ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরে সিপিএমের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। অনেক জেলা আর্থিক কারণেই সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে পারছে না। বহু জেলা একাধিক গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পথে হেঁটেছে। কিন্তু ভোটে যে অর্থ একটা বড় বিষয়, তা জানেন সিপিএমের নেতারাও।

Advertisement

এ বারের লোকসভা ভোটে বেশির ভাগ জায়গাতেই সিপিএমের প্রার্থীরা ঘুরেছেন হুডখোলা টোটোতে। অনেক জায়গায় হুডখোলা জিপ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। দলের প্রথম সারির এক নেতার কথায়, প্রচারের বাকি উপকরণেও বামেরা পিছিয়ে থেকেছে আর্থিক কারণেই। রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেছিলেন, ‘‘অসম লড়াই লড়তে নেমেছিলাম।’’

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে দীপ্সিতা ধর, সায়রা শাহ হালিম, প্রতীক-উর রহমান ছাড়া বাকি সব প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন। সেলিম, রামচন্দ্র ডোম, সূর্যকান্ত মিশ্রও ছিলেন বৈঠকে। মূলত প্রার্থীদের অভি়জ্ঞতা শোনার জন্যই ডেকেছিল সিপিএম। সূত্রের খবর, সেখানে প্রায় সকলেই বলেছেন নিচুতলার সংগঠনের বেহাল দশার কথা। এ-ও বলেছেন, শ্রমিক, কৃষক অংশের থেকে দল বিচ্ছিন্ন। মহিলাদের সঙ্গেও দূরত্ব রয়েছে দলের। সূত্রের খবর, এক জন প্রার্থী বলেছেন, ‘‘নির্বাচনী রাজনীতিতে সিপিএম বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তা ফিরে পেতে কী করতে হবে সেটাই এখন খুঁজে বার করা দরকার।’’

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে দু’টি মত উঠে এসেছে বৈঠকে। কোথাও কোথাও কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় ছিল, কোথাও আবার একেবারেই ছিল না— এই দুই মত উঠে এসেছে বলে খবর। শনিবারের বৈঠক প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘আমরা অভিজ্ঞতা শুনতে ডেকেছিলাম। তাঁদের বলা হয়েছে, সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। তাঁদের কথা শুনতে। সেই কথা আবার পার্টির কাছে নিয়ে আসতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement