চাকরি-প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি, সকলেই জানে কী ভাবে টাকার খেলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী যে-ই থাকুন, তাঁদের মাথার উপরে আছেন তো মুখ্যমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মের জীবন থেকে এতটা সময় ও সুযোগ কেড়ে নেওয়ার মাসুল কে দেবে?’’
ধর্না-স্থলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে যখন আদালতে টানাপড়েন চলছে, সেই সময়েই চাকরি-প্রার্থীদের মঞ্চে ফের সহমর্মিতা জানাতে হাজির হলেন সিপিএম নেতৃত্ব। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের মতো বিষয়ে কোনও আমলে এমন দুর্নীতি হয়নি বলে অভিযোগ করে তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকেও।
মেধা তালিকায় থেকেও এসএসসি-র নিয়োগ না পাওয়া চাকরি-প্রার্থীরা লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছেন মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নীচে। ওই ধর্না-স্থলে বুধবার গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শ্রমিক সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদলও গিয়েছিল সেখানে। সেলিম বলেন, ‘‘এই সরকারের লজ্জা-শরম কিছু নেই! এখন যাঁদের স্কুলে পড়ানোর কথা, তাঁরা রাস্তায় বসে ধর্না দিচ্ছেন, লাঠি খাচ্ছেন। আর অন্য দিকে টাকার খেলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে এসএসসি-তে ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএম নেতাদের। আদালতের মামলা চলাকালীন বিরোধী দলের এই উদ্যোগকে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ‘ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা’ বলে মনে করছেন।
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি-মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘এই ভাবে কি রক্ষাকবচ পাওয়া যায়? চাকরি-প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি, সকলেই জানে কী ভাবে টাকার খেলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী যে-ই থাকুন, তাঁদের মাথার উপরে আছেন তো মুখ্যমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মের জীবন থেকে এতটা সময় ও সুযোগ কেড়ে নেওয়ার মাসুল কে দেবে?’’