অমর্ত্য সেনের সঙ্গে নৈশভোজে সিপিএম নেতৃত্ব। ছবি: সংগৃহীত।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব। প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁরা ছিলেন অমর্ত্যের সঙ্গে। কলকাতার একটি নামী হোটেলে তাঁরা একসঙ্গে নৈশভোজও সারেন।
সিপিএম সূত্রে খবর, এই পর্বে অমর্ত্য দেশে ফেরার পরে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট চেয়েছিল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। কারণ, লোকসভা ভোটের পরে অমর্ত্য জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছেন অমর্ত্য। সিপিএম নেতৃত্বকে সেই মতো সময় দিয়েছিলেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎ পর্বে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য-কন্যা নন্দনা দেবসেনও। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে অমর্ত্যের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের সাক্ষাতে আলোচনা হয়েছে। নিউটাউনে জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত যে গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চ’-প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী বলেন, “সমকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জ্যোতি বসুর ভাবনা এবং বাংলার বাম আন্দোলন সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ আমাদের পাথেয়।”
উল্লেখ্য দু’বছর আগে দেশে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর মুজফ্ফর আহমেদ ওরফে ‘কাকাবাবু’র নামাঙ্কিত পুরস্কার অমর্ত্যকে প্রদান করা হয়েছিল। সিপিএম প্রদত্ত সেই সম্মান এবং পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন অমর্ত্য স্বয়ং। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, শান্তিনিকেতন জমি সমস্যা থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা, বিবিধ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে অমর্ত্যের একটি সখ্য তৈরি হয়েছে। সিপিএম সেখানেই একটি পরিসর পেতে চাইছে। তারা বোঝাতে চাইছে, অমর্ত্যের সঙ্গে শুধু মমতার নয়, সিপিএমেরও সখ্য রয়েছে।