জ্যোতি বসুর নামে গবেষণা কেন্দ্রের ফলক স্থাপন অনুষ্ঠানে বাম নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
জ্যোতি বসুর জন্মদিনেই প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামে গবেষণা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করল সিপিএম। দলের তরফে গঠিত একটি ট্রাস্টের হাতে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর জন্য জমি আনুষ্ঠানিক ভাবে এসেছে কয়েক মাস আগে। যে জমি কিনতে চেয়ে বিমান বসুরা হিডকো-র কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ১০ বছর আগে, রাজ্য সরকার পরিবর্তনের পরেই। নিউ টাউনে ওই জমিতেই শুক্রবার বসল গবেষণা কেন্দ্রের ফলক। আর এ বারই প্রথম বাম-শূন্য বিধানসভায় পালিত হল জ্যোতিবাবুর জন্মদিন। কোনও বিধায়ক নেই, বাইরে থেকে কোনও বাম নেতা বিধানসভার অনুষ্ঠানে যাননি।
তৃণমূলের সরকার নামকরণকে স্বীকৃতি না দিলেও গবেষণা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নিউ টাউনকে ‘জ্যোতি বসু নগর’ হিসেবেই উল্লেখ করছে সিপিএম। ফলকের পাশাপাশি এ দিন ওই জমিতে ছোট অনুষ্ঠানে লাগানো হয়েছে বেশ কিছু গাছের চারা। উপস্থিত ছিলেন বিমানবাবু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, গৌতম দেব, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী-সহ সিপিএম নেতারা। বিমানবাবু বলেন, ‘‘জ্যোতিবাবুর মতো নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতিরক্ষায় এই সোশ্যাল স্টাডিজ এবং রিসার্চ সেন্টারের পরিকল্পনা অনেক দিনের। জমিটা এখন হাতে পাওয়া গিয়েছে। এ বার নকশা অনুযায়ী কেন্দ্রের কাজ শুরু করতে হবে।’’
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নামে স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানে এ দিন অংশগ্রহণ করেছিলেন বিমানবাবু, প্রাক্তন মুখ্যসচিব অমিত কিরণ দেব-সহ বিশিষ্ট জনেরা। অন্য দিকে, একটি সংস্থার উদ্যোগে প্রিয়া সিনেমা হলে বসু-স্মরণে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সেলিম, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, পিডিএসের সমীর পূততুণ্ড প্রমুখ। ওই অনুষ্ঠানেই প্রকাশিত হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বই ‘রক্তপলাশের আকাঙ্ক্ষায়’। যার কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক শিবিরের একাংশে বিতর্ক বেধেছে।