কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ১১টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য তৃণমূলের কাছে আবেদন জানালেন প্রবীণ বাম নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রস্তাবিত জমি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এবং তাদের আর্থিক নীতির প্রতিবাদে আগামী ২ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। বামফ্রন্ট ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে তারা ওই দিন এ রাজ্যে হরতাল পালন করবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের কাছে গুরুদাসবাবুর আবেদন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল যখন মোদী সরকারের ওই সিদ্ধান্তগুলির বিরোধিতা করছে, তা হলে তারা এ বার ধর্মঘটের বিরোধিতা থেকে সরে আসুক। মমতার দলের মোদী-বিরোধিতা কতটা খাঁটি, কৌশলে তা-ই পরখ করে দেখতে চাইছেন গুরুদাসবাবুরা!
এআইটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক গুরুদাসবাবু বুধবার বলেন, ‘‘এই ধর্মঘট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নয়। শ্রমিক ইউনিয়নের দাবির অনেকগুলিই তৃণমূলও সমর্থন করে। তাই আশা করব, রাজ্য সরকার এই ধর্মঘট ভাঙতে নামবে না। আর তৃণমূলের কাছেও আবেদন, এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করবেন না।’’ গুরুদাসবাবুর এমন আবেদনে প্রায় ধর্ম-সঙ্কটে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা জানাচ্ছেন, নীতিগত ভাবে তৃণমূল ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করলে মোদী-সখ্যের বার্তা আরও প্রবল হবে কি না, সেই সংশয় থেকেই দলে আলোচনার আগে এই বিষয়ে কোনও অবস্থান জানাতে চাননি তাঁরা।
গুরুদাসবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘এইটুকু বলতে পারি, জমির প্রশ্নে আমাদের অবস্থান বদলায়নি। বিরোধী দলে থাকাকালীন এই নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছিলাম। এখন সরকারে থেকেও কেন্দ্রের জমি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে আমরাই প্রথম এ রাজ্যের বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করিয়েছি।’’