কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত আমানত বিমা বিলের (এফআরডিআই) প্রতিবাদে সুর চ়ড়িয়ে রাস্তায় নামছে বাম ও তৃণমূল, দু’পক্ষই। ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠনের মাধ্যমে বামেরা প্রতিবাদ শুরু করেছিল আগেই। এ বার ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-কে কাজে লাগিয়ে প্রতিবাদকে আরও ছড়িয়ে দিতে চাইছে তারা। তৃণমূলের তরফে শহরের রাস্তায় নামা হচ্ছে আজ, শুক্রবারই।
সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার যুব তৃণমূলের উদ্যোগে আজ যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়া হয়ে হাজরা মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ডাকা হয়েছে। যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। সংসদের অধিবেশন সামলে কলকাতায় অন্য যে নেতা-সাংসদেরা থাকতে পারবেন, তাঁদেরও মিছিলে দেখা যেতে পারে। তৃণমূল ভবনে গত সপ্তাহে দলের বৈঠকে মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনে যেতে হবে। সংসদে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। এ বার প্রতিবাদ শুরু হচ্ছে বাইরেও।
পক্ষান্তরে বামেদের ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনে স্বাক্ষর সংগ্রহে নেমেছে। এর পর বিপিএমও গোটা রাজ্য জুড়ে আগামী দু’মাস সই সংগ্রহ করবে। জেলা স্তরে হবে কনভেনশন। বামেদের আশঙ্কা, সংসদের চলতি অধিবেশনে আনা না হলেও বাজেট অধিবেশনে ওই বিল পাশ করাতে তৎপর হতে পারে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, বিপিএমও-র ডাকেই আগামী ২৭ ডিসেম্বর মৌলালির রামলীলা ময়দানে রাজ্য কনভেনশন হবে ‘কালা বিলে’র প্রতিবাদে। বিপিএমও-র আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ষীয়ান সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘প্রতি জেলায়, প্রতি ব্লকে, প্রতি শহরে এই বিলের প্রতিবাদে নামতে হবে। সাধারণ মানুষের পেনশন থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের উপরে হাত পড়ে গিয়েছে। এ বার ব্যাঙ্কের আমানতের নিশ্চয়তাও থাকছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ আমাদের প্রতিহত করতে হবে মানুষকে সঙ্গে নিয়েই।’’
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে এ দিনই ধর্মতলা থেকে এন্টালি পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। যার দাবিগুলির মধ্যে ছিল এফআরডিআই প্রসঙ্গও। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে আজ ধর্না-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন। পাশাপাশিই শ্যামলবাবু জানিয়েছেন, আদায়যোগ্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্থানীয় স্তরে পদযাত্রা চালিয়ে যাবে বিপিএমও।