দক্ষিণ কাঁথি উপনির্বাচনের ফল তুলে ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে পাল্টা খোঁচা হজম করতে হল আলিমুদ্দিনের নেতাদের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে আজ কটাক্ষ উড়ে এল, জোট করে কিছু হবে না। মানুষের জনসমর্থন ফিরে পেতে নতুন রাজনৈতিক কৌশল নিতে হবে।
পরিস্থিতির চাপে কোণঠাসা পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতারা কটাক্ষ শুনেছেন। কিন্তু পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, তাঁরা জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পেশ করা রাজ্য কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে তৃণমূল রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। শিক্ষকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সমর্থন ফিরে পাচ্ছে সিপিএমের সংগঠনগুলি। সমবায়-সহ নানা সমিতির নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে বামেরাই। একই ভাবে বন্ধ কারখানা, রুগ্ণ শিল্প এবং বিলগ্নিকরণের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শিল্পগুলিতেও বামেদের গণসংগঠনগুলি আন্দোলন করছে। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছেন, তৃণমূলের জমানায় নতুন শিল্প বা লগ্নি হয়নি বলে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।
কংগ্রেসকে নিয়ে সিপিএমের অন্দরে বিতর্ক চলাকালীনই নারদ-প্রশ্নে বামেদের সুরই আজ শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায়। কাটোয়ার নজরুল মঞ্চে দলীয় সভায় তিনি বলেছেন, ‘‘জেল খাটায় তৃণমূল এ বার রেকর্ড করবে! কোনও দলের এত নেতা-মন্ত্রী অভিযুক্ত, এমন নজির নেই। বিশ্বরেকর্ডের খাতায় এ বার নাম লেখাবে তৃণমূল!’’