হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। নিজস্ব চিত্র
শারীরিক অবস্থার আচমকাই অবনতি হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার তাঁকে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তীর অধীনে ভর্তি করানো হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। হাসপাতালের ৩১৩ নম্বর আইসিইউ প্রস্তুত রাখা হয়েছে তাঁর জন্য। তবে আপাতত বুদ্ধদেবের স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
করোনায় আক্রান্ত হলেও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকেরা এর আগেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বুদ্ধদেব মানেননি। তবে সোমবার তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-র কাছাকাছি নেমে যাওয়ায় আর ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার সকালেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন তাঁরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বুদ্ধদেবের। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটা চলা করতে পারছিলেন না তিনি। তাঁকে নিরবচ্ছিন্ন বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৮০-র কাছাকাছি। মঙ্গলবার সকালেও সেই অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে আর দেরি না করে হাসপাতালের ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বুদ্ধদেবের বাড়িতে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। দুপুর ১২টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব এবং তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুদ্ধদেব বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করালেও মীরাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। সোমবারই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মীরা। গত দু’দিনে বুদ্ধদেবেরও শারীরিক অবস্থারও ক্রমশ উন্নতি হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বাইপ্যাপের সাহায্যে তাঁর অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিক ছিল।তবে সোমবার রাত থেকে হঠাৎই তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
দিন কয়েক আগেই বুদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হাসপাতালে যেতে নারাজ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তারপরও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। অক্সিজেন সরবরাহ এবং বাইপাপ সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজও চলছিল বাড়ি থেকেই।