প্রতীকী ছবি।
মৃতদেহের হাতে উল্কিতে লেখা ছিল ‘মিলন’। পকেটে মিলেছিল বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকালের একটি টিকিট এবং মোবাইল ফোন।
শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণ পল্লির একটি ভাগাড় থেকে বছর কুড়ির ওই যুবকের দেহ মেলে। তদন্ত এগোনোর পরে জানা যায়, যুবকের পুরো নাম মিলন খান। বাড়ি বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর ধানতলায়। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দূর সম্পর্কের আত্মীয়া সোনালি হালদার ও তার স্বামী সৌমিত্রকে। তদন্তকারীদের দাবি, সোনালির সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল মিলনের। মাস চারেক আগে সোনালির বিয়ের পরে সে কথা জেনে ফেলে স্বামী। দু’জনে মিলে গলা টিপে মিলনকে খুন করে ফেলে দেয় ভাগাড়ে। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে ওই দম্পতি। শনিবার ব্যারাকপুর আদালত দু’জনকে তোলা হলে বিচারক সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
যেখানে মিলনের দেহ মিলেছিল, সোনালিদের বাড়ি সেখান থেকে কিছুটা দূরে। ২৪ নভেম্বর দুপুরে বর্ধমান থেকে মিলন হালিশহরে আসেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কাটা হয়েছিল টিকিট। পুলিশ জানতে পেরেছে, দিন তিনেক হালিশহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে বুধবার সোনালির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন মিলন। সোনালি তাঁকে ডেকে এনেছিল, নাকি মিলন নিজেই এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: মহিলাদের সুরক্ষায় ‘গ্রুপ’ পুলিশের
পুলিশ ইতিমধ্যে জানতে পেরেছে, হালিশহরে মিলনের মাসতুতো দিদির দেওরের শ্বশুরবাড়ি। মিলনের মা- বাবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মিলনের। সেখানেই থাকে সোনালি। বিয়ের পরেও দু’জনের সম্পর্ক ছিল। সৌমিত্র সে কথা জেনে যাওয়ায় অশান্তি শুরু হয় সংসারে। সোনালি জেরায় দাবি করেছে, বিয়ের পরে মিলনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল সে। কিন্তু তা মানতে পারেনি মিলন। এই পরিস্থিতিতে মিলনকে পথ থেকে সরাতে চেয়েছিল ওই দম্পতি।
সোনালির বাড়ির কাছেই ভাগাড়। পুলিশের দাবি, তারই কাছাকাছি কোনও জায়গায় মিলনের সঙ্গে দেখা হয় সোনালির। সঙ্গে ছিল সৌমিত্রও। স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাধে মিলনের। তার পরেই ওই দম্পতি মিলকে ওই যুবককে গলা টিপে খুন করে দেহ ভাগাড়ের গর্তে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার ভেসে ওঠে দেহ।