ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে সেতুবন্ধনের মতো কাজ করবে হাওড়া পুরসভা। (গ্রাফিক:তিয়াসা দাস)
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য। করা হচ্ছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপও। যে জায়গাগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হাওড়া পুরসভার কয়েকটি এলাকা। এক দিকে যেমন রাস্তায় ব্যারিকেড করা হচ্ছে, তেমনই ওই এলাকার বাড়ি বাড়ি যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিখানার জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে পুলিশ ও হাওড়া পুরসভার তরফে।
পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে হাওড়ার ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। চালু করা হয়েছে একটি ফোন নম্বরও— ১৮০০১২১৫০০০০০। ওই নম্বরে ফোন করলে, প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মুদিখানার সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ওই জিনিসের মূল্য হতে হবে ২০০ টাকার ওপরে এবং ১০ কেজির নীচে।
প্রতি পরিবার দিনে এক বারের বেশি অর্ডার দিতে পারবে না। এই পরিষেবায় আপাতত মুদিখানার কিছু নির্দিষ্ট জিনিসপত্র পাওয়া যাবে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই সব জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারি কোনও দফতর এই কেনা-বেচার সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাকবে না। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে সেতুবন্ধনের মতো কাজ করবে হাওড়া পুরসভা।
আরও পড়ুন: কাজ নেই, পয়সা নেই আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত
কিছু কিনতে হলে ওই টোল ফ্রি নম্বরে জানাতে হবে। যা কিনতে চাইছেন, তার তালিকা তৈরি করে আগে টাকা মেটাতে হবে। তার পর ওই সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়িতে সেই সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হলে, আর তা পাল্টানো যাবে না। তবে, পরবর্তী ক্ষেত্রে এই নিয়মের পরিবর্তন হতে পারে।
আরও পড়ুন: সন্তান জন্মানোর পর মায়ের করোনা, বন্ধ করা হল মেডিক্যালের ইডেন বিল্ডিং
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও সহজে কী ভাবে ওই সব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়, তার চিন্তা-ভাবনা চলছে। আপাতত চাল, ডাল, মশলা থেকে শুরু করে মুড়ি-সহ ৪৩টি জিনিস পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)