করোনার সংক্রমণ এড়াতে সরকারের দ্বারস্থ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকার তথা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছে পিপিই কিটের আবেদন করলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা। চালকদের দাবি, জীবনের ঝুঁকি সঙ্গী করে পিপিই কিট ছাড়াই কোভিড রোগীদের নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছেন। তবে হাসপাতালের গাড়ির চালকদের সরকার পিপিই কিট দিলেও তাঁদের সুরক্ষার তেমন বন্দোবস্ত নেই। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে নিজেরাই পিপিই কিট কিনছেন। এই আবহে সংক্রমণ এড়াতে সরকারের কাছে এই আবেদন করলেন চালকেরা।
বীরভূম জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য জন্য ২টি সরকারি গাড়ি রয়েছে। বাকি প্রায় ৮০ জন চালক বেসরকারি সংস্থার। হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক সংগঠনের সদস্য সিরাজুল শেখ বলেন, “বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল অর্থাৎ সিয়ান হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স স্ট্যান্ডে প্রায় ৭০টি গাড়ির মধ্যে ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স, বাকি ৪০টি অন্য গাড়ি। তবে সে গাড়িগুলিও অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে পরিষেবা দেয়। ইমার্জেন্সি কল পেলে কলকাতা, দুর্গাপুর-সহ নানা প্রান্তে ছুটে যাই। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পিপিই কিট ছাড়াই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কোভিড আক্রান্ত ছাড়াও সব ধরনের রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করি। রোগীর কোভিড রিপোর্ট তো জানার উপায় নেই। ফলে জীবনের ঝুঁকি থেকেই যায়। বহু চালকই ৮০০ থেকে হাজার টাকা দিয়ে নিজেরাই পিপিই কিনছেন। তবে সরকার বা কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে পিপিই কিট দেওয়া হলে উপকার হবে।”
করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত হয়েছেন ওই হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের একাংশও। চালক সংগঠনের আর এক সদস্য মাজরুল ইসলাম বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিতে গিয়ে এক সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর সংসারে এখন আর্থিক টানাটানি চলছে। আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করছি। তবে চালকদের পিপিই কিট দিলে উপকৃত হব।”