হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। —নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী নিজে দু’দিন আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাওড়ার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও হাওড়াকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘কন্টেনমেন্ট’ও। কোথাও কোথাও রাস্তা ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার ওই সব এলাকায় বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে হাওড়া পুরসভা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় এক লক্ষ মানুষ ওই পরিষেবার আওতায় রয়েছেন। আগামী কয়েক দিনে সংখ্যাটা ৩ লক্ষে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানা গিয়েছে।
দ্রুত যাতে ওই সব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়, সে কারণে বেশ কয়েকটি নম্বর চালু করা হয়েছে পুরসভার তরফে। আগে একটি নম্বর চালু ছিল। নতুন ফোন নম্বরগুলি হল— ০৩৩-৬২৯২২৩২৮৫৫, ৬২৯২২৩২৮৬৭, ৬২৯২২৩২৮৬৮, ৬২৯২২৩২৮৭০, ৬২৯২২৩২৮৭১ এবং ২৬৪১০২২১।
আগে থেকে চালু থাকা টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ১২১৫০০ ০০০।
পুরসভা সূত্রে খবর, পরিষেবা যাতে সুষ্টু ভাবে করা যায়, তার জন্যে হোম ডেলিভারির কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩১ জন, ১২ জন টেলি কলার এবং অন্য ৪ কর্মী কাজ করছেন। প্রতি দিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ অর্ডার আসছে। তা এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি পুরসভার। পুরকর্তাদের দাবি, গত ১৩ এপ্রিল হোম ডেলিভারির আওতায় এসেছেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। সম্প্রতি নতুন তিনটি জায়গা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তবে ফোন করে নির্দিষ্ট ৪৩টি জিনিসের অর্ডার করা যাবে। মূল্য হতে হবে ন্যূনতম ২০০ টাকা। জিনিসপত্রের ওজন হতে হবে ১০ কেজির নীচে।
আরও পড়ুন: সঙ্গত কারণ না দেখিয়ে রাজ্যে কেন আসছে কেন্দ্রীয় দল? প্রশ্ন তুললেন মমতা
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ৫৪, বাড়েনি মৃতের সংখ্যা
পুরসভার দাবি, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আরও বেশ কিছু এলাকায় এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই পরিষেবা চালু হলে উপকৃত হবেন অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ।