হরিশঙ্কর বাসুদেবন
জন্ম কেরলে। বাবার চাকরির সূত্রে স্কুলজীবন কাটে কেনিয়ায়। উচ্চশিক্ষা কেম্ব্রিজে। জীবনতরী তাঁকে এনে ফেলেছিল কলকাতার ঘাটে। সেই থেকে এ শহরের সঙ্গে তাঁর চার দশকের সম্পর্ক। শনিবার রাত ১টা নাগাদ প্রয়াত হলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এমেরিটাস অধ্যাপক হরিশঙ্কর বাসুদেবন। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতা। তাঁদের মেয়ে মৃণালিনী বাসুদেবন মুম্বইয়ে কর্মরত।
জ্বর আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৪ মে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বাসুদেবন। তখনই জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। রবিবার বিকেলে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
ইউরোপের ইতিহাস, ভারত-রুশ সম্পর্ক বা বৌদ্ধিক চর্চার ইতিহাস পঠনপাঠনে আলাদা মাত্রা এনেছিলেন বাসুদেবন। মার্চের মাঝামাঝিও ক্লাস নেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা পড়তে সমস্যা হলেও বাংলা মাধ্যম থেকে আসা পড়ুয়াদের জন্য আলাদা দরদ ছিল তাঁর। ক্লাসে বোর্ডওয়ার্কের ফাঁকে ভাঙা ভাঙা মিষ্টি বাংলায় অনেক কিছু বলতেন। বাংলায় ইতিহাস চর্চার আরও উপাদান ইন্টারনেটে থাকা কাম্য বলে মনে করতেন তিনি। বিভিন্ন বিশিষ্ট ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে যুক্ত বাসুদেবনের প্রয়াণে দেশের সারস্বত সমাজ শোক জ্ঞাপন করেছে। তাঁর ছাত্র, ইতিহাসের শিক্ষক কিংশুক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ও বাঙালির নানা বিষয়ে ওঁর গভীর জ্ঞান ও আগ্রহ ছিল। কলকাতার কোথায় কী সুখাদ্য মেলে, খবর রাখতেন তারও।”
আরও পড়ুন: রাজ্যে এক দিনে মৃত ১৪, আক্রান্ত ১৫৩
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকের চাকরি খুইয়ে আনাজ বিক্রি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)