গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
সোমবারের তুলনায় এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। সংক্রমণ এ বার ছড়িয়েছে কলকাতা পুলিশেও। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশে ২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবাইকেই আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। সোমবার সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের উপর থাকলেও মঙ্গলবার তা সামান্য কমে হয়েছে ১৮.৪৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৬৫৯ জন। এ-নিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হলেন মোট ২০ লক্ষ ৫৬ লক্ষ ২৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৯ জন। এ ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হাওড়া— এই ছয় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কালিম্পঙে এক জনও করোনা আক্রান্ত হননি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এর ফলে রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৫১ জনের।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)