নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল বনগাঁর বাসিন্দা ওই মহিলার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রোগীর মৃত্যু হল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলাকে রবিবার রাতে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বনগাঁর বাসিন্দা ওই মহিলা সোমবার দুপুরে মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ায় তাঁকে প্রথম থেকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। মহিলার লালা রসের নমুনাও পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাই রোগীর দেহ এখনই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত নিয়ম মেনে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত দেহ আলাদা করে রাখা হবে হাসপাতালেই।
আরও পড়ুন: জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল এ ভাবে? ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো, বিতর্কে যোগী সরকার
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় ভুগছিলেন ওই মহিলা। সম্প্রতি তিনি চেন্নাই গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পরেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বরের সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। পরিস্থিতির অবনতি হলে রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল খুব কম, ৪.৫। এনআরএস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাইসেড থেকে রোগীর লালা রসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। যদি পজিটিভ হয় তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অন্ত্যেষ্টি হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত গাইডলাইন মেনে।
আরও পড়ুন: জানা যায়নি কী ভাবে সংক্রমণ, করোনায় মৃত কালিম্পঙের মহিলার সংস্পর্শে অনেকেই
এর আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও সৌদি আরব থেকে ফেরা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁকেও করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে নাইসেড থেকে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল ওই ক্ষেত্রে।