রাজ্যের করোনা চিত্র
রাজ্যে অনেকটাই কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৬৫৭-এ। রবিবার যেখানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮০৬, সংখ্যার বিচারে তা থেকে অনেকটাই নেমে এসেছে সংক্রমণ। কিন্তু পাশাপাশি অনেকটা কমেছে দৈনিক করোনা পরীক্ষার পরিমাণও। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছিল, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু সোমবার দৈনিক পরীক্ষার পরিমাণ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ২৮৩-তে। এর ফলে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। সোমবারের হিসাবে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২.৫০ শতাংশ।
সোমবারের পরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৯৬-এ। এর মধ্যে ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৪৫ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এর ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫। কিছুটা কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাব ধরে আপাতত রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ১১ হাজার ৫৬৬ জন।
দৈনিক সংক্রমণের দিক থেকে জেলার তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৮৪ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরপরেই রয়েছে উত্তরের জেলা দার্জিলিং। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে উত্তরের জেলাগুলিতে কমেছে সংক্রমণের পরিমাণ। আলিপুরদুয়ারে ২১, কোচবিহারে ৩৯, কালিংপঙে ১৭, জলপাইগুড়িতে ৩৫ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কলকাতায় একই সময়ে সন্ধান মিলেছে ৪৬ জন নতুন আক্রান্তের।
এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কম রয়েছে করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যে মালদহ ও পুরুলিয়া জেলায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজন করে নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে দুই, উত্তর দিনাজপুরে তিন, দক্ষিণ দিনাজপুরে পাঁচ, বীরভূমে পাঁচ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই কমেছে টিকাকরণের হার। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছে ৭৭ হাজার ৭৬১ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন দু’কোটি ৭৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১৬ জন।