তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র
তুফানগঞ্জ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়তে পারেন কোচবিহার জেলার এক তৃণমূল নেতা। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে খবর, শুক্রবার ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে রিপোর্ট জমা পড়েছে। অভিযুক্ত নেতার নাম অভিজিৎ দে ভৌমিক ওরফে হিপ্পি।
অভিজিৎ এ বারের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার দক্ষিণ থেকে তৃণমূল প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ কলেজের এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এক বহিরাগতের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কলেজের মধ্যেই। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তুফানগঞ্জ কলেজের গ্রন্থাগারের কাছে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তাপস দাস কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র। সেই ঘটনা নিয়েই অভিজিৎ বেফাঁস মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নজরে আসতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট দিতে বলেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ওই রিপোর্ট কলকাতার এক শীর্ষ নেতার দফতরে জমা পড়েছে। বিকেলেই তিনি ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তা দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের দফতরের জমা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোচবিহারের ওই নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
কোনও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কোনও বেফাঁস বা বিতর্কিত মন্তব্য দল বরদাস্ত করবে না বলেই জানিয়েছেন এক শীর্ষ নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘যে যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাঁকে পার্টির শৃঙ্খলা যেমন মানতে হবে, তেমনই মহিলাদের প্রতিও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গী রাখতে হবে। ওই নেতার কথাকে দল সমর্থন করে না। তাই যাবতীয় রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বই।’’
শুক্রবার ডায়মন্ডহারবারে এমপি কাপের উদ্বোধনে ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। তাই মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেখেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রসঙ্গত, তুফানগঞ্জ ধর্ষণ কাণ্ড ও তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। কোচবিহার জেলায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা মিছিল করেছেন।