—ফাইল চিত্র।
নতুন বছরে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার চিঠি পাঠালেন অভিভাবকদেরও। তাঁর স্বাক্ষরিত চিঠি ইতিমধ্যে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই চিঠির ভাষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকের অভিযোগ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিভাবকদের কাছে এই ধরনের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা আছে, বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে মুখ্যমন্ত্রী খুবই আনন্দিত। চিঠির শেষ পঙ্ক্তিতে লেখা হয়েছে, ‘আশা করি, এই প্রকল্প আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সামগ্রিক মানোন্নয়নে সাহায্য করেছে এবং আগামী দিনেও আপনাকে এই প্রকল্পে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এই উন্নয়নের যজ্ঞে আরও বেশি করে শামিল হওয়ার সুযোগ পাব।’
শিক্ষা শিবিরের একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন চিঠি আসার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এটা ভোটের প্রচারের নামান্তর। এবিটিএ-র সভাপতি কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের তির্যক মন্তব্য, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এখন কত রকমের চেষ্টা চলছে! শেষে ভোটের প্রচারের জন্যও অভিভাবকদের চিঠি দিতে হচ্ছে। অথচ সারা বছর তো এই অভিভাবকদের সুবিধা-অসুবিধার কোনও খোঁজ নেননি মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘এই ধরনের চিঠি নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়,’’ মঙ্গলবার বলেন কৃষ্ণপ্রসন্নবাবু।
আরও পড়ুন: হিমন্ত বিশ্বশর্মা সারদা থেকে তিন কোটি টাকা নিয়েছেন! সুদীপ্ত সেনের চিঠি দেখিয়ে দাবি মমতার
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকার কী কাজ করছে, তা তো প্রচারমাধ্যমে জানানো হচ্ছে। এ বার স্কুলের পরিকাঠামো ব্যবহার করেও নিজেদের কাজের ফিরিস্তির প্রচার শুরু করেছে সরকার। এটা খুবই অনৈতিক।’’