‘মিস্ড কলে’র প্রকল্প এ বার রাহুল গাঁধীর হাতেও!—ফাইল চিত্র।
অমিত শাহের ‘মিস্ড কলে’র প্রকল্প এ বার রাহুল গাঁধীর হাতেও!
তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির সরাসরি সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে ‘শক্তি’ প্রকল্প। হাতে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে ‘মিস্ড কল’ দিয়ে যে প্রকল্পে নাম তুলতে হবে! বাংলায় ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হওয়ার কথা আগামী বুধবার বিধান ভবন থেকে।
বিজেপিতে মিস্ড কল মারফত দলীয় সদস্যপদ দেওয়ার অভিনব কায়দা আমদানি হয়েছিল শাহ সভাপতি হওয়ার পরে। কংগ্রেসের পরিকল্পনা অবশ্য একটু আলাদা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, নানা রাজ্যেই একেবারে নিচু তলার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছেন রাহুল। সেই জন্যই এমন প্রকল্পের ভাবনা। সাংগঠনিক স্তরে দু’টি ফোন নম্বর দিয়ে কর্মীদের বলা হচ্ছে, সেখানে ‘মিস্ড কল’ করতে। তার পরে ওই নম্বর থেকে মেসেজ এলে তার জবাবে দিতে হবে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের (এপিক) নম্বর। তা হলেই নাম উঠে যাবে ‘শক্তি’ প্রকল্পে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মী পাবেন স্বয়ং রাহুলের তরফে একটি বার্তা। যে সব মোবাইল নম্বর ‘শক্তি’র অধীনে নথিভুক্ত হবে, তার মধ্যে থেকেই বেছে নিয়ে যোগাযোগ করবেন কংগ্রেস সভাপতি। এপিক নম্বর পেলে এআইসিসি-র সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত বিভাগ যোগাযোগকারীদের বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক ভাগ করে নেবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত বৈঠক বসছে মঙ্গল ও বুধবার। তার মধ্যে এক দিন ‘শক্তি’র সূচনার জন্য সময় রাখতে বলেছেন এআইসিসি-র তরফে বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ। সেইমতোই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রদেশ স্তরের সব নেতা, শাখা সংগঠন ও জেলা নেতৃত্ব এবং সাংসদ-বিধায়কদের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বুথ পর্যন্ত জনসম্পর্ক গড়ে তুলতে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজ এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে দিতে দলের সকলকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’’
এআইসিসি-র তরফে ‘ডেটা অ্যানালিটিক্স’-এর প্রধান প্রবীণ চক্রবর্তী ‘শক্তি’র প্রযুক্তিগত দিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে। বিধান ভবনে তাঁরা প্রজেক্টর লাগিয়ে ওই প্রকল্পের খুঁটিনাটি কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চান। তার পরে থাকবে প্রশ্নোত্তরের আসরও। কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, লোকসভা ভোটের আগে বুথ পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য যে ‘লোক সম্পর্ক অভিযানে’ নামছে দল, তার সঙ্গেই ‘শক্তি’কে জু়ড়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে দু’টোর মধ্যে তফাত হল— ‘লোক সম্পর্কে’র কাজ করতে হবে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি কুপন দিয়ে চাঁদাও তুলতে হবে। আর ‘শক্তি’র মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন দলীয় সভাপতি রাহুল নিজে।
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রদেশ ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাহুলজি ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এ কথা বলবেন। আবার কর্মীদের কাছেও সরাসরি পৌঁছবেন। তাঁর নজর সংগঠনকে সচল রাখার দিকেই।’’