(বাঁ দিকে) নদী ভাঙনে সরকারি উদাসীনতার প্রতিবাদে কংগ্রেসের ধর্না ও সেচ দফতরে দাবিপত্র জমা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম-সহ নানা জেলায় নদী ভাঙন রুখতে রাজ্য ও কেন্দ্রের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এ বার রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ দফতরের সামনে ধর্না-অবস্থান করল কংগ্রেস। রাজ্যের সেচ দফতরের পাশাপাশি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কাছেও। মোট ৯ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
বিধাননগরে জলসম্পদ ভবনের কাছে মঙ্গলবারের অবস্থান থেকে রাজ্যের বাঁধগুলি বেহাল বলে অভিযোগ তুলে সেগুলি শুধু বর্ষা এলে কেন সারানো শুরু হয়, সেই প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। ভাঙন রুখতে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য কত টাকা পেয়েছে, তা কী ভাবে খরচ হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কী অবস্থায় রয়েছে, তা-ও জানতে চান তিনি। শুভঙ্করের বক্তব্য, “গঙ্গা-ভাঙন রোধে সরকারি উদাসনীতার বিরুদ্ধে আন্দোলন বা সাবেক ইউপিএ সরকারের আমলে গঠনমূলক ভাবে গঙ্গার পাড় বাঁধার কাজ, দু’টোই কংগ্রেস করেছে। ভাঙন রোধে মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গার পার ধরে অধীর চৌধুরীর ‘সাইকেল যাত্রা’ করেছিলেন।” কার্যত একই সুরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীও বলেছেন, “প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি যখন কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী ছিলেন, রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁর উদ্যোগে ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঙ্গার পাড় বাঁধানো হয়েছিল। বিজেপি যদি বাংলার ভাল চাইত, তা হলে তারা এখন তাদের দায়িত্ব পালন করে দেখাতে পারত।” অবস্থানে ছিলেন অসিত মিত্র, সুব্রতা দত্ত, কৃষ্ণা দেবনাথ, মায়া ঘোষ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, তাপস মজুমদার, সুমন পাল, সুমন রায়চৌধুরী, তপন আগরওয়াল, প্রদীপ প্রসাদ-সহ দলের অনেকেই।
সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ অবশ্য বলেছেন, “গঙ্গা-ভাঙন নিয়ে ২০১৪-য় মুখ্যমন্ত্রী মমতা কেন্দ্রের কাছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন। কেন্দ্র তা কার্যকর করেনি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে। দল নির্বিশেষে কেন্দ্রের এই মনোভাব বদলের জন্য চাপ দেওয়া উচিত।”