ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অধীর। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটে অশান্তি হয়েছে এমন অভিযোগে সমান সরব বিজেপি ও কংগ্রেস। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ডাকা সোমবারের ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ কংগ্রেস সরাসরি সমর্থন না করলেও বিরোধিতাও করবে না। এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই সঙ্গে অধীর এটা স্পষ্ট করেই বলেছেন যে, এই বাংলা বন্ধ ডাকার যুক্তিকে তিনি সমর্থন করছেন। রবিবার বহরমপুরে সংবাদমাধ্যমকে অধির বলেন, ‘‘বিজেপি একটা রাজনৈতিক দল। তারা বন্ধ ডাকতেই পারে। যে কারণে বন্ধ ডেকেছে, তার মধ্যে অযৌক্তিক কিছু নেই।’’
মুখে অধীর সমর্থনের কথা না বললেও বন্ধ ডাকা যুক্তিযুক্তি মনে করার পাশাপাশি তাকে সমর্থন করা যেতে পারে বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। তাঁর এক ঘনিষ্ঠের কথায়, ‘‘বাংলায় যে ভাবে গণতন্ত্রকে রাজপথে নামিয়ে হত্যা করা হল, তার প্রতিবাদে কেউ বন্ধ ডাকলে তাকে সমর্থন করা যেতেই পারে বলেই মনে করেন দাদা।’’
রবিবার ভোটে অশান্তির অভিযোগে সকাল থেকেই সরব ছিল বিজেপি। দলের প্রার্থী, কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগও ছিল। ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সব পুরসভার ভোট বাতিলের দাবিও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। একই সঙ্গে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধের ডাক দিয়েছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এমন বন্ধ আদৌ মানুষের সমর্থন পাবে না বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সেই সময়ে সরাসরি সমর্থনের কথা না বললেও অধীরের বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, রবিবার বহরমপুর শহরের রাস্তায় বার বার ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন অধীর। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন এই অভিযোগে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ হয়। অধীরের পাল্টা দাবি, তিনি কোনও বিধি ভঙ্গই করেননি। একই সঙ্গে তাঁকে আটকে রেখে শাসক তৃণমূল অবাধে ভোট লুঠ করেছে বলেও দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।