কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে শোভাযাত্রা কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা চাইলেও ‘কংগ্রেসমুক্ত’ ভারত কখনও সম্ভব হবে না বলে দাবি করল কংগ্রেস। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের মঞ্চ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা দাবি করলেন, সাংবিধানিক ও ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর মধ্যে বর্তমান শাসকদের বিকল্প গড়ে উঠবে কংগ্রেসের হাত ধরেই।
দলের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সোমবার বিধান ভবন থেকে ধর্মতলা হয়ে মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। সাজ-সজ্জায় সে শোভাযাত্রা ছিল যথেষ্ট রঙিন। বিধান ভবনে কর্মসূচির শুরুতে ছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। শোভাযাত্রা শেষে গাঁধী মূর্তির নীচে জমায়েতে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চত্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস ও রাজ্য ছাত্র পরিষদের দুই সভাপতি শাদাব খান ও সৌরভ প্রসাদ এবং কংগ্রেসের কলকাতার একাধিক জেলা কমিটির সভাপতিরা। মনোজবাবু সেখানে বলেন, ‘‘ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বাধীন ভারতের জন্য যে সংবিধান ও সংসদীয় গণতন্ত্রের কাঠামো গড়েছিলেন, তার জোরেই নরেন্দ্র মোদীরা ক্ষমতায় পৌঁছতে পেরেছেন। সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি পর্বের সঙ্গে মিশে আছে কংগ্রেস। কংগ্রেস দুর্বল হলে দেশও যে দুর্বল হয়, এখন সকলে দেখতে পাচ্ছেন!’’ মোদী-শাহদের ‘কংগ্রেসমুক্ত ভারত’-এর স্বপ্ন সফল হবে না বলেও চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মনোজ, সন্তোষেরা।
কংগ্রেস নেতৃত্বের আরও বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল নেতারা এখন একে অপরকে ‘তোলাবাজ’, ‘ধান্দাবাজ’ বলে গাল পাড়তে ব্যস্ত! এই দুই শক্তির বাইরে কংগ্রেস ও বাম মিলে বাংলার মানুষের কাছে বিকল্প শক্তি হবে। বামেদের আমন্ত্রণে আজ, মঙ্গলবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থানে যোগ দেবেন কংগ্রেস নেতারা। সেখানে থাকার কথা প্রদীপবাবু, আব্দুল মান্নানের। মনোজবাবু জানিয়েছেন, কলকাতার দলীয় নেতা-কর্মীরাও টিপু সুলতান মসজিদের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে অবস্থান-মঞ্চে যাবেন।
প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কংগ্রেসের নানা কর্মসূচি হয়েছে জেলাতেও। হুগলির শেওড়াফুলিতে জেলা কংগ্রেসের কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা মান্নান। দক্ষিণ কলকাতায় অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষের সাহায্যার্থে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রদীপবাবু, তুলসী মুখোপাধ্যায়েরা।