প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ় আলম সৈরানিকে শ্রদ্ধা জানাতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দু’পক্ষের সমঝোতা হয়নি। নানা চর্চা চলছে তা নিয়ে। এরই মধ্যে প্রয়াত হাফিজ় আলম সৈরানিকে শ্রদ্ধা জানাতে মিলে গেলেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে কংগ্রেস নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েই প্রাক্তন মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানালেন বাম নেতৃত্ব। পরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সিপিএমের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হল, উপনির্বাচনে সমঝোতা না-হলেও দু‘পক্ষের মধ্যে ‘কোনও ভুল বোঝাবুঝি’ নেই।
বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈরানি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে। আমৃত্যু প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রয়াত হয়েছেন সোমবার। তাঁর মরদেহ মঙ্গলবার আনা হয়েছিল বিধান ভবনে। সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুখেন্দু পানিগ্রাহী-সহ বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। তার আগে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মরদেহ বার করার সময়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন ফ ব-র র রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, ডলি রায়, জীবন সাহা প্রমুখ। হাসপাতালে ছিলেন কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ প্রসাদেরা। বিধান ভবনের পরে বিধানসভায় সৈরানির মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরে সৈরানির মরদেহ নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন রওনা হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায়। আগাগোড়া সঙ্গে আছেন সৈরানির ভাইপো, প্রাক্তন বিধায়ক আলি ইমরান রাম্জ (ভিক্টর)। চাকুলিয়ার বিনারদহে গ্রামের বাড়িতে আজ, বুধবার সৈরানির শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, বিধান ভবনে সৈরানিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বেরোনোর সময়ে বিমানবাবুর সঙ্গে উপনির্বাচন ও সমঝোতা প্রসঙ্গে ঘরোয়া কথা হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের। পরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের রাজ্য দফতরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেছেন, ‘‘এই উপনির্বাচনে বৃহত্তর বাম ঐক্য হয়েছে। কংগ্রেসও সমঝোতায় থাকলে ভাল হত। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদল হয়েছে। উপনির্বাচনে এমনিই সময় কম ছিল, দান খেলতে একটু দেরিও হয়ে গিয়েছে। তাই সব কিছু খাপে খাপে হয়নি।’’ সেই সঙ্গেই সেলিমের সংযোজন, ‘‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।’’ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও এর আগে বলছেন, উপনির্বাচনে আসন-রফা না-হওয়া মানেই বোঝাপড়ায় ইতি নয়।