Bengal Global Business Summit

বিজিবিএস-এ নেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী 

সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশ-বিদেশের অতিথিদের মঙ্গলবার চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, তিনি চান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আসুন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৫
Share:
ভুটানের প্রাক্তন তথা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।

ভুটানের প্রাক্তন তথা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। —ফাইল চিত্র।

বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরুর প্রাক্ মুহূর্তে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তবগের যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছিল প্রশাসনের অন্দরে। আজ, বুধবার থেকে দু’দিনের জন্য শুরু হচ্ছে বিজিবিএস। সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশ-বিদেশের অতিথিদের মঙ্গলবার চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, তিনি চান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আসুন। তবে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি ছিল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর যোগদান অনিশ্চিত। রাতে ভুটান দূতাবাস থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নন, বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের অন্য এক জন মন্ত্রী। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে।

চা-চক্রে যোগ দিতে গিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই মমতা বলেছিলেন, “ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আমাকে তো গত অক্টোবর মাসেই নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি আসবেন বলেই জানি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু কিছু কিছু খবর পাচ্ছি। দিল্লির কিছু সমস্যা আছে কি না জানি না। তবে চাইব উনি আসুন সম্পর্কের দিক থেকে। ভুটান আমাদের প্রতিবেশী দেশ।” রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র নেই বলেই সম্ভবত ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের যথেষ্ট ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল। যদিও গত সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। তবে এ দিনই রাতেই সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস জানিয়ে দেয়, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। ভুটানের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের অন্য এক জন মন্ত্রী। তবে কোন মন্ত্রী সম্মেলনে আসবেন, তা জানানো হয়নি সেই বার্তায়। অন্য দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অচলাবস্থা এখনও অব্যহত। এ দেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনও রয়েছে যথেষ্ট। সূত্রের দাবি, তাই এ বারের সম্মেলনে সে দেশের কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এ দিন মমতা বলেন, “২৫ জন রাষ্ট্রদূত এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছেছেন। বাকিরা আসবেন মধ্যরাতে। এখন আর নৈশভোজ হয় না। শুধু চা-চক্রের আয়োজন হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি আসছেন। তার মধ্যে ২০টি সহযোগী দেশ। অন্তত ২০০ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, মুকেশ অম্বানী, সজ্জন জিন্দলেরা আসতে চান। এখানকার শিল্পপতিরা সবাই থাকবেন।” এ দিনই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সূত্রের দাবি, সেখানে স্থির হয়েছে, বিজিবিএস-এ অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মান্ডি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন