—ফাইল চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনের প্রস্তাবিত বিল (সিএবি) কার্যকর হলেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়া অন্য দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ হবে না। তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তদন্ত করবে র। সংসদে পেশ হওয়া যৌথ কমিটির রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা যাচ্ছে। অথচ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে দলের সব নেতা সর্বত্র প্রচার করছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে শরণার্থী হিসাবে আসা ওই দেশগুলির সংখ্যালঘুরা অনায়াসে নাগরিকত্ব পাবেন। তাঁরা যে ধর্মীয় কারণে উৎপীড়িত হয়ে বা উৎপীড়নের ভয়ে ভারতে এসেছেন, সেই মর্মে তাঁদের কোনও নথি দেখাতে হবে না! অর্থাৎ, বিজেপির এই প্রচারের সঙ্গে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদে পেশ হওয়া যৌথ কমিটির রিপোর্টের ফারাক আছে।
যৌথ কমিটির রিপোর্টে ইনটেলিজেন্স বুরো (আইবি)-র বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, ওই দেশগুলির ৩১,৩১৩ জন সংখ্যালঘুকে দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে এ দেশে এসেছিলেন। কিন্তু এ ছাড়া যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের প্রমাণ দিতে হবে যে, তাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে এসেছিলেন। ভারতে আসার সময় তাঁরা সেই কথা বলে না থাকলে এখন সেই দাবি করা তাঁদের পক্ষে কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে র তাঁদের দাবি সম্পর্কে তদন্ত করবে।
তা হলে দিলীপবাবুরা কেন বলছেন, ধর্মীয় নির্যাতনের প্রমাণ ছাড়াই শরণার্থীরা ভারতে নাগরিকত্ব পাবেন? সদুত্তর এড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘কোন রিপোর্টে কী বলা হয়েছে জানি না। আমরা যেটা প্রচার করছি, সেটাই হবে।’’