উত্তরে শিলিগুড়ি থেকে দক্ষিণে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত চিত্রটা কমবেশি প্রায় একই রকম ছিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত দু’দিনের তুলনায় উৎপাত কিছুটা কমলেও শনিবার রাত বাড়তেই ফিরল শব্দ-আতঙ্ক। অন্তত রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে। রাজ্যের উত্তরে শিলিগুড়ি থেকে দক্ষিণে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত চিত্রটা কমবেশি প্রায় একই রকম।
শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শুক্রবার মাঝরাত অবধি শব্দবাজি ফেটেছে। শনিবারও কিছু এলাকায় শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হয়নি। আলিপুরদুয়ারেও সন্ধ্যা হতে না-হতেই শব্দবাজি ফাটতে শুরু করে। গত দু’দিনের মতো এ দিন শব্দবাজি রুখতে ততটা পুলিশি নজরদারি ছিল না বলে অনেকেরই অভিযোগ। যদিও জেলার পুলিশকর্তাদের দাবি, কড়া নজরদারি ছিল। যেখানে অভিযোগ মিলেছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোচবিহারেও এ দিন ফের শব্দবাজি ফাটার অভিযোগ মিলেছে। তবে দুই দিনাজপুর ও মালদহে শুক্রবার শব্দবাজির ভাল রকম দাপট ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও ইংরেজবাজারের বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি ফাটতে শুরু করে। এ দিন মালদহে যথারীতি শব্দবাজি ফাটলেও দুই দিনাজপুর শান্ত ছিল।
দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে এ বার শব্দবাজির তাণ্ডব ছিল কম। তবে মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে শুক্রবার রাতেও ইতিউতি শব্দবাজি ফেটেছে। নানা ভাষাভাষীর শহর খড়্গপুরে রাতের দিকে বাজির দাপট খানিক বেড়েছে। শুক্রবার রাতে যে সব বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরোয়, সেখানেও পটকা, চকলেট বোম দেদার ফেটেছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, নজরদারি থাকায় বাজি অনেক কম পুড়েছে। তবে শনিবার তো নয়ই, শুক্রবার রাতেও পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় সে ভাবে শব্দবাজি ফাটেনি।
বোমা-দোদমার দমক অনেকটা কমেছে আসানসোল-দুর্গাপুর খনি-শিল্পাঞ্চলেও। বর্ধমান শহরে গত দু’দিনের তুলনায় দৌরাত্ম্য কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। নদিয়ার কলকাতা সন্নিহিত শহর কল্যাণীতে শুধু যে যথেচ্ছ চকলেট ও ডিলাক্স বোম বিক্রি হয়েছে তা নয়, কালীপুজো ও তার পরের দিন রাত নামতেই নাগাড়ে শব্দবাজি ফেটেছে। সেই তুলনায় শনিবার রাতে উৎপাত ছিল অনেকটাই কম।