ছবি:সংগৃহীত।
মন্ত্রী আসবেন হোমের অনুষ্ঠানে। এ দিকে, স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এক মহিলাকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন হোম কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ওই মহিলা যাতে বিঘ্ন না ঘটান, সেই কারণে তাঁকে রেখে আসা হয় নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মানসিক বিভাগে। শনিবার সেখান থেকে ফেরার পথে ওই মহিলা হোমের কর্মীদের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁকে হাসপাতালের মানসিক বিভাগে দু’বার ধর্ষণ করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের ওই হোম কর্তৃপক্ষ শনিবারেই কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এমন অভিযোগ মানতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। জেলার এসপি শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে।’’ হাসপাতালের সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা সব সময় ভাবে, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই অনেক সময় তাঁরা এমন কথাবার্তা বলে থাকেন।”
পুলিশ ও হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পশ্চিমবঙ্গ সমাজকল্যাণ পর্ষদের অধীনে কৃষ্ণনগর পঙ্কজ আচার্য মহিলা নিবাসের আবাসিক। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ওই মহিলাকে এই হোমে নিয়ে আসা হয়। ২৪ অগস্ট ওই হোমের সংস্কার হওয়া দু’টো ভবনের উদ্বোধন করতে আসেন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। হোমের সুপার রুমা দে ও সমাজকল্যাণ পর্ষদের চেয়ারপার্সন সুরঞ্জনা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এমন অবস্থা হয়েছিল যে, কোনও ভাবেই ওই মহিলাকে অনুষ্ঠানের দিন হোমে রাখা যেত না।” মন্ত্রী শশী পাঁজা অবশ্য বলছেন, “আমি ওই হোমের অনুষ্ঠানে যাব বলে ওই মহিলাকে হাসপাতালে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। আমি বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখছি।”