লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে কড়া ট্রাফিক পুলিশ নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ঢাল করা হয়েছে বিধি নিষেধকে। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ অমান্য করে এত গাড়ি রাস্তায় কেন, তা দেখতে শহরে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তাতেই বিধি অমান্য করা ও রাস্তায় বেরনোর উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারার জন্য ১৯,২২২ টি অভিযোগ দায়ের করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইপিসি ১৮৮ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এখন একাধিক বিধিনিষেধ বলবৎ করা হয়েছে। তেমনি ছাড়ও দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করছে পুলিশ। গাড়ি,বাইকের চালকদের বিরুদ্ধে মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্টে মামলা করার পাশাপাশি জানতে চাওয়া হচ্ছে বাইরে বেরনোর কারণ। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলেই দায়ের করা হচ্ছে অভিযোগ। তবে বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখে কারও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে না বা রাস্তার সিসি ক্যামেরা দেখেও এই অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে না বলে জানান এক আধিকারিক। অভিযুক্তদের কাছে কারণ জানতে চাওয়ার পরই থানায় মামলা দায়ের করছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
এ ক্ষেত্রে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ২৫টি গার্ড এলাকায় নিয়ম ভঙ্গ করে যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁদের নাম, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা নিয়ে নিচ্ছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। প্রয়োজনে ছবিও তোলা হচ্ছে। সেই সব কিছু নিয়ে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আইপিসির ১৮৮ নম্বর ধারায় দায়ের হওয়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেল এবং জরিমানা দুই হতে পারে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। টিকা নিতে বা হাসপাতালে যাচ্ছেন অনেকেই। ইমার্জেন্সি সার্ভিসকেও ছাড় দেওয়া আছে। কিন্তু অকারণে বাইরে বার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের অভিযোগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অধিকাংশ গাড়ি বিধিনিষেধ ভেঙে রাস্তায় বেরিয়েছে। তুলনামূলক অনেক কম অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে।