জমি-জট, লোবায় কাজ শুরু কবে

জমির উপযুক্ত দাম, ক্ষতিপূরণের দাবিতে ‘কৃষিজমি রক্ষা কমিটি’র আন্দোলনে ২০১২ সালে লোবায় থমকে গিয়েছিল প্রস্তাবিত কয়লা খনির কাজ। জমি কেনার পদ্ধতিতেও আপত্তি তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাটির নীচে রয়েছে উন্নতমানের কয়লা। কিন্তু, নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে কয়লা তোলার কাজ হবে কিনা, সে প্রশ্ন ঘুরছে বীরভূমের লোবায়। তবে শেষ না দেখে কেউই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্যে যেতে চাননি।

Advertisement

মঙ্গলবার দুবরাজপুর ব্লকের লোবা মৌজায় ৯০১ থেকে ৯৮৭ দাগ নম্বরের ‘মাঠ খসড়া’ করতে যান ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং খনি গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিভিসি-র প্রতিনিধিরা। কিন্তু, জমির প্রকৃত মালিকদের কেউ উপস্থিত হননি। স্থানীয় চাষি এবং কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যেরা শুধু এসেছিলেন। তাঁরা আর্জি রাখেন, প্রতিটি মৌজার প্রতিটি দাগ নম্বর ও প্লট ধরে সমীক্ষা করতে হবে। এ দিন আর কাজ এগোয়নি।

জমির উপযুক্ত দাম, ক্ষতিপূরণের দাবিতে ‘কৃষিজমি রক্ষা কমিটি’র আন্দোলনে ২০১২ সালে লোবায় থমকে গিয়েছিল প্রস্তাবিত কয়লা খনির কাজ। জমি কেনার পদ্ধতিতেও আপত্তি তোলা হয়। ৩৩৫৩ একরের মধ্যে প্রায় ৭০০ একর জমি কিনলেও কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নেয় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে গড়া ডিভিসি-এমটা প্রকল্প। পরে সুপ্রিম কোর্ট যে ক’টি কোল-ব্লক বণ্টন অবৈধ ঘোষণা করে, তাতে নাম ছিল লোবার খাগরা-জয়দেব খনির। আরও পরে লোবা থেকে কয়লা তোলার বরাত পায় রাষ্ট্রায়ত্ত ডিভিসি। কিন্তু, জমির অধিগ্রহণ কী ভাবে হবে, ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ কী হবে, তা নিয়ে জট কাটেনি।

Advertisement

সম্প্রতি জমি সমীক্ষার জন্য ‘মাঠ খসড়া’র সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার থেকে চারটি শিবির খোলা হলেও হাতেগোনা চাষি এসেছিলেন। তখন মাঠে নেমে জমি-জট মেটানোর চেষ্টা হয়। তবু জট কাটল না। বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পূর্ণেন্দু মাজি বলছেন, ‘‘দু’পক্ষের বোঝায় কোথাও ফাঁক থাকছে। তবে আশা, সমস্যা মিটবে।’’ যদিও ডিভিসি-র কিছু কর্তার আশঙ্কা, ‘‘প্রশাসনকে সাহায্য করছি। তবে, যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, তাতে সময়ে কয়লা তোলা শুরু হলে হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement