মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। -ফাইল চিত্র
আমপান ক্ষতিপূরণ বিতর্কের মধ্যেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোভিড এবং আমপানের ত্রাণ তহবিলের অডিট করানো হবে।
কোভিড মোকাবিলায় ত্রাণ তহবিল আগেই গড়েছিল রাজ্য সরকার। আমপানের পরে ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে আরও একটি ত্রাণ তহবিল গড়ে রাজ্য। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সাহায্য সাধারণ মানুষের কাজ ছাড়া অন্য কোনও কাজে যাবে না। এটা সবটাই মানুষের জন্য। স্বচ্ছতা মেনেই কাজ হবে এবং হচ্ছে। প্রতিটা রেকর্ড অডিট হবে। ৮০-জি সুবিধার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সঙ্গে এটার যোগ থাকলেও আমরা খরচ করছি না। অর্থ দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে অডিট করতে অসুবিধা না হয়। স্বচ্ছতা থাকে।’’
গত রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘আমপানে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের বদলে রাজ্য সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে পাকা বাড়ির মালিক তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে।’’
মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, মানুষের আর্থিক দান কোভিড মোকাবিলার উপকরণ এবং পরিকাঠামো খাতে খরচ করা হয়েছে। আমপান তহবিলে কমবেশি ৪০ কোটি টাকা পেয়েছে সরকার। উপরন্তু আমপান-ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্গঠনে সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য নিজে। মমতার কথায়, ‘‘যেটুকু সাহায্য মানুষের থেকে পেয়েছি, তা মানুষের কাজেই লাগিয়েছি। আমাদের কিছু লুকোনোর নেই। কত পেয়েছেন আমি বলছি না, দেখছি না, শুনছি না, তা নয়। সব বলেছি, দেখেছি, শুনেছি।’’