পাহাড়ে পুরসভা ভোট আসন্ন। তার আগে পাহাড়ে যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তাঁদের নামের তালিকা নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার শিলিগুড়ির কাছে পিনটেল ভিলেজে প্রশাসনিক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে পুরসভা, জিটিএ এবং পঞ্চায়েত ভোট হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে। পাহাড়ের মানুষ উন্নয়ন চান। আমার পাহাড়ের ভাইবোনেরা খুব ভাল।’’
দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক পুরসভায় মে মাসে ভোট হতে পারে। গত সপ্তাহেই বিজনবাড়ি কলেজে ভোটে ১০-১ আসনে জিতেছে তৃণমূল। তাই মোর্চা শিবিরে দুশ্চিন্তাও রয়েছে। সেই সঙ্গে, মদন তামাঙ্গ খুনের মামলায় চার্জ গঠন করে শুনানি শুরু হলে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিমল গুরুঙ্গ সহ অভিযুক্ত সব মোর্চা নেতাদের কলকাতায় থাকতে হবে। তা ছাড়াও নানা সময়ে অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সহ সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে অন্তত শতাধিক জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অপরাধমূলক কাজে যুক্ত সন্দেহে আরও একশো জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এঁদের মধ্যে সব দলের লোকই আছেন। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মোর্চার সমর্থকের সংখ্যাই বেশি বলে অনুমান পাহাড়বাসীদের অনেকের।
এ বার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে মোর্চার প্রথম সারির নেতাদের অনেকেই সন্দেহ, আসন্ন ভোটে পাহাড়ে পুলিশ-প্রশাসন অতি সক্রিয়তা দেখাতে পারে। মোর্চার বিজনবাড়ি কলেজে হারের পরে খোদ গুরুঙ্গ অভিযোগ করেছেন, টাকা ছড়িয়ে, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা হচ্ছে। এ দিন মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, বিনা কারণে দলের কাউকে পুলিশ হয়রান করলে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হবেন। পাহাড়ের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, ‘‘যাঁরা শান্তি চান তাঁদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী সব সময় রয়েছেন। কিন্তু কেউ পাহাড়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে যে রেয়াত করা হবে না সেটা মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’’