ফাইল চিত্র।
‘ভুল’ কোথায় তা বুঝিয়ে দিতে রাজ্যপালকে জগদীপ ধনখড়কে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফোনে জানালেন, টাইপের ভুলেই দুপুর ২টোর বদলে রাত ২টো হয়ে গিয়েছিল প্রস্তাবে। যদিও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, এই ‘সামান্য ভুল’ কি দেখে বুঝে নেওয়া উচিত ছিল না রাজ্যপালের! বিশেষত প্রস্তাবের বাকি জায়গায় যেখানে দুপুর ২টোর কথাই স্পষ্ট করে বলা আছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা অধিবেশন রাত দু’টোর সময় ডাকার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন ধনখড়। বৃহস্পতিবারই তিনি একটি টুইট করে এই ঘোষণা করেন। এমনকি নজিরবিহীন ভাবে যে রাত ২টোর সময় অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও সবার নজর টানেন রাজ্যপাল। প্রমাণ হিসেবে টুইটারে ছবি তুলে প্রকাশ করেন মন্ত্রিসভার তরফে তাঁর কাছে আসা প্রস্তাব পত্রটিও। মমতার বিষয়টি জানতে পেরেই ফোন করেন রাজ্যপালকে। এমনকি ভুল যে তাঁদের তরফেই হয়েছে, সে কথাও জানান ধনখড়কে। রাজ্যপালকে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টাইপের ভুলেই এমন হয়েছে। তবে সেই ভুল তাঁরা দ্রুত শুধরে নেবেন। এমনকি ওই টাইপের ভুল শুধরে নিয়ে নতুন করে মন্ত্রিসভার সদস্যদের জরুরিভিত্তিতে তলব করে বৈঠকও ডাকেন মমতা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বসবে সেই বৈঠক।
রাজ্যপালের কাছে পাঠানো মন্ত্রিসভার ওই সুপারিশের দু’টি জায়গায় ২ সংখ্যাটির পাশে পিএম-এর বদলে এএম লেখা ছিল। তবে ভুল শুধরে নতুন সুপারিশ পাঠানোর জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতেই হয় মমতাকে। টুইটে সে কথা জানিয়ে রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র এবং তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল লেখেন, ‘রাজ্যপালের টুইট দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করেন। জানান, am শব্দটি টাইপোগ্রাফিকাল ভুল। সর্বত্র pm লেখা। এটা বুঝে নিলেই ভালো হত। এদিকে, আবার pm লিখে প্রস্তাব পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রী 28/2 মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন।’
তবে একইসঙ্গে রাজ্যপালের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘প্রশ্ন হল, রাজ্যপাল টুইটে ক্যাবিনেট পেপার প্রকাশ করলেন কী করে? এই নথি প্রকাশ্যে আনার বিধি ও রীতি নেই। রাজ্যপাল সব রীতি ভাঙছেন। সরকারের কাজে বাধা দেওয়া, বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা, নন ইস্যুকে ইস্যু করতে তিনি ব্যস্ত। রাজ্যপালের পদের গরিমা নষ্ট করে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।’