মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল ছবি।
বর্ধমান থেকে সরাসরি নবান্নে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোদার মাঠে সভা শেষ করে ফেরার পথে তাঁর গাড়ি আচমকা ব্রেক কষে। তাতে কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আঘাত পাওয়ার পর তিনি কপালে একটি রুমাল চেপে নেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আবার রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বুঝি বর্ধমান থেকে সরাসরি যাবে এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু দেখা যায়, আঘাতকে পাত্তা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা ঢুকে যান নবান্নে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে বর্ধমানে যান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ফেরার পথে তিনি সড়কপথে ফেরেন। কারণ, বৃষ্টি এবং কুয়াশার জেরে হেলিকপ্টার ওড়ার পরিস্থিতি ছিল না। তাই গোদার মাঠ থেকেই গাড়িতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার পথে রওনা হয় তাঁর কনভয়। তার পরেই ঘটে বিপত্তি।
গত বছরের ২৭ জুন জলপাইগুড়ির সভা থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছনোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু, মাঝপথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুম্বইয়ের একটি সংস্থা থেকে ভাড়া নেওয়া সেই হেলিকপ্টার। দৃশ্যমানতা প্রায় তলানিতে চলে যায়। ঝড়-বৃষ্টিতে বিপজ্জনক ভাবে দুলতে থাকে হেলিকপ্টারটি। বেগতিক দেখে হেলিকপ্টারের দুই পাইলট শালুগাড়ায় সেনাবাহিনীর হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি অবতরণ করেন। অভিযোগ, খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুলুনিতে এবং শালুগাড়ায় সিঁড়ি না থাকায় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া স্পেন সফরে গিয়েও পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভার ভোটের প্রচারে নন্দীগ্রামে পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন মমতা। বেশ কয়েক দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এ বার বর্ধমান থেকে ফেরার পথে আবার চোট পেলেন। যদিও এসএসকেএম নয়, বর্ধমান থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ঢুকে যায় রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর, নবান্নে।