লুলু গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরফ আলি (ডান দিকে)-র সঙ্গে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
দুবাই থেকে এ বার বিনিয়োগ বাংলায়। শুক্রবার বহুজাতিক বাণিজ্য সংস্থা লুলু গোষ্ঠীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাণিজ্য বৈঠকের আগে শুক্রবার লুলু গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরফ আলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আশরফের ওই বৈঠক সদর্থক হয়েছে। রাজ্যে বিনিয়োগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মমতা পরে তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে এই বৈঠকের কথা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবারের বৈঠক বাংলার উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত আশাপ্রদ।
বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার নিউটাউনে বিশ্ব মানের শপিং মল তৈরি করবে লুলু গোষ্ঠী। বিশ্বের সমস্ত দেশে লুলু গোষ্ঠীর সমস্ত শপিং মলে ‘বিশ্ববাংলা’র জন্য আলাদা ‘কাউন্টার’ খোলা হতে পারে। সেখানে বিক্রি হবে শুধুই ‘বিশ্ববাংলা’র পণ্য। নিজেদের সমস্ত বিপণির জন্য প্রয়োজনীয় ফল এবং সব্জি লুলু সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ থেকেই কিনতে পারে। বাংলায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র খুলতেও আগ্রহী ওই সংস্থা। মৎস্য এবং মাংস প্রক্রিয়াকরণ, পোলট্রি, ডেয়ারি শিল্পে বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। বাংলায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী এক্সে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসার জন্য লুলু গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
লুলু গোষ্ঠীর কর্ণধার ইউসুফ আলি মুসালিয়াম ভেট্টিল আবদুল কাদের কেরলের ত্রিশূরের ভূমিপুত্র। তাঁর কাকা এমকে আবদ্দুলাহ এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থার প্রধান কেন্দ্র আবু ধাবি। আরব আমিরশাহি, ভারত, সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরিন, ওমান, মিশর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় এই গোষ্ঠীর মোট ২৩৪টি বিপণি রয়েছে। কয়েক বছর ধরে রফতানি বাণিজ্য শুরু করেছে সংস্থা। তাদের হোটেল ও রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও রয়েছে। কেরল ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লুলু গ্রুপের বিনিয়োগ রয়েছে। এ দেশের লখনউয়ে সব থেকে বড় শপিং মলটি তাদেরই তৈরি।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে লুলু গোষ্ঠীর সাম্রাজ্য। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।