মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে রুখতে এবং তাদের পড়াশোনার আঙিনায় রাখতে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে ৮৯ লক্ষ ছাত্রী। ছাত্র সপ্তাহ পালনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়ে দিলেন, তিনি ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে এক কোটির মাইলফলক ছুঁতে চান। এ ছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত কোন প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা কত, সেই পরিসংখ্যানও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল পেয়েছে এক কোটি ২৭ লক্ষ স্কুলপড়ুয়া। ঐক্যশ্রীর উপভোক্তা সংখ্যা চার কোটি ১৫ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। শিক্ষাশ্রীর সুবিধা পেয়েছে এক কোটি ৩৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। মেধাশ্রী প্রকল্পে সরকারি অনুদান প্রাপকের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পেয়েছে ৩২ লক্ষ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে। স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ পেয়েছেন ৮১ হাজার পড়ুয়া।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, শুধু শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পেই রাজ্যে সুবিধা পেয়েছে প্রায় সাত কোটি পড়ুয়া। যা উল্লেখযোগ্য বলে অভিমত সরকারের। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, এত কিছু করেও কেন প্রাথমিক স্কুলগুলি রুগ্নদশা কাটানো যাচ্ছে না? কেন কম ছাত্রছাত্রী থাকা একাধিক স্কুলের সংযুক্তিকরণের কথা ভাবতে হচ্ছে সরকারকে? মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পরিসংখ্যানের শাক দিয়ে দুর্নীতির মাছ ঢাকা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন, তার উদাহরণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এগুলো সবাই জানে।’’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে তৃণমূল ধ্বংস করছে। তিল তিল করে শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা। গত ১০ বছরে সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলে পড়ুয়াসংখ্যা কত কমেছে, সেই পরিসংখ্যান দিন মুখ্যমন্ত্রী।’’