ফড়ে-রাজ রুখতে কড়া মুখ্যমন্ত্রী

প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, এমনিতেই বর্ষার মরসুমে অসাধু ব্যবসায়ীদের একাংশ কারসাজি করে কিছু জিনিসের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু টানা প্রায় এক মাস ধরে প্রায় সব আনাজপাতির দাম বেড়েই চলেছে, এমনটা কমই হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৩০
Share:

মাসখানেক ধরে বাজারে আনাজের দাম লাগামছাড়া। পাইকারি আর খুচরো বাজারে দামের ফারাক বিস্তর। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফড়ে-রাজ ঠেকাতে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বাজারগুলিতে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছেন তিনি।

Advertisement

প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, এমনিতেই বর্ষার মরসুমে অসাধু ব্যবসায়ীদের একাংশ কারসাজি করে কিছু জিনিসের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু টানা প্রায় এক মাস ধরে প্রায় সব আনাজপাতির দাম বেড়েই চলেছে, এমনটা কমই হয়েছে।

পাইকারি ও খুচরো বাজার সমিতিগুলির বক্তব্য, বন্যার জেরে বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গিয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। কোলে মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম কর্তা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, আলু ছাড়া অন্য সব আনাজের দাম চড়চড় করে বেড়েছে। চাষির ঘরে আনাজ নেই, ফলে বাজারে আকাল লেগেছে। মানিকতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত ঘোষ জানান, আনাজের বাজার চড়া বলে গৃহস্থকে ভুগতে তো হচ্ছেই, আনাজ ব্যবসায়ীদেরও বেচাকেনা কমেছে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য মনে করেন, কম জোগানের সুযোগে ফড়েরাই কৃত্রিম ভাবে আনাজের দাম বা়ড়িয়ে ফায়দা লুটছে। এ দিন কোলে মার্কেট-সহ কলকাতার আশেপাশের পাইকারি বাজারে ভাল মানের আনাজের পাইকারি দাম ছিল কেজি-প্রতি ৪০ টাকা। খুচরো বাজারে তা বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। কুঁদরির মতো আনাজের দাম পাইকারি বাজারে ছিল ১৫-১৭ টাকা কেজি। খুচরো বাজারে সেটাই বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement