লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরা, অ্যাকশন! বিধানসভায় একটি ‘ঐতিহাসিক’ বিলের উপরে বলতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী!
স্পিকারের আসন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতেই অধিবেশন কক্ষ জুড়ে এলইডি আলোর বন্যা! বিশেষ বিশেষ দিনে টিভি ক্যামেরার কাজ করার সুবিধার্থে যে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ছাপানো বক্তা তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫ মিনিট। তাঁর জন্য প্রথম দফায় আরও ২৫ মিনিট বাড়ানো হল। পরের দফায় স্পিকার আরও ১০ মিনিট সময় দিতে চাইলেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আর পাঁচ মিনিটে তাঁর হয়ে যাবে। যেই হয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রী নিজের আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে গেল উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি! বিরোধীদের সংশোধনী সামলে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন ‘ঐতিহাসিক’ বিল হাতে-কলমে পাশ করাচ্ছেন, জ্বলছে না বিশেষ আলো। দো’তলার ব্যালকনি থেকে টিভি ক্যামেরার সরাসরি সম্প্রচারও বন্ধ!
দীর্ঘ দিন মন্ত্রিত্ব করে আসা বিশ্বনাথ চৌধুরী বলছেন, ‘‘এমন জিনিস জীবনে দেখিনি! অধিবেশনের মধ্যে ক্যামেরা ঢুকতে দিলে আগাম নোটিস দিতে হয়। রাজ্যপালের ভাষণ বা বাজেটের দিন যেমন হয়।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘গ্যালারি শো-র এর চেয়ে বড় উদাহরণ হয়? বিল নিয়ে গোটা বিতর্কে শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কেরা কে কী বললেন, দেখানো হল না!’’ কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপ-নেতা নেপাল মাহাতোও বিস্মিত, ‘‘শুধু মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা সম্প্রচারের জন্য ব্যবস্থা, এ আবার কেমন নিয়ম!’’ টাউন হলে হাসপাতাল-কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকও ছিল ‘লাইভ’।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের সঙ্গে নজরে স্কুল, শিক্ষা-ব্যবসা রোখাও লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার