Crime

পরকীয়ার অভিযোগ, দুই গ্রামে খণ্ডযুদ্ধ

টেনেহেঁচড়ে গ্রামের মধ্যে টেনে আনা হয় দু’জনকে। তার পর শুরু হয় মারধর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইটাহার শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:০৭
Share:

রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।—নিজস্ব চিত্র।

দু’জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই অভিযোগ তুলে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারসংঘর্ষে জড়ালেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশ-প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল দেদার বোমাবাজি। বোমা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তিন জনকে। ঘটনার পর থেকে থমথম করছে গোটা এলাকা। পুলিশি টহল চলছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার গুলন্দর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, পেশায় লেদ কারখানার কর্মী মুজিবর আলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের গুলন্দর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক মহিলার। তাঁরা দু’জনেই বিবাহিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইটাহারের বেলুয়া গ্রামে দেখা করতে যান তাঁরা। সেখানে একটি ফাঁকা জায়গায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তাঁদের দেখে ফেলেন মুজিবরের বাড়ির লোকজন।

এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। টেনেহেঁচড়ে গ্রামের মধ্যে টেনে আনা হয় দু’জনকে। তার পর শুরু হয় মারধর। মুজিবরের প্রেমিকা ওই মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পাশের গ্রাম থেকে ছুটে আসেন ওই মহিলার বাড়ির লোকজন। দুই গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সালিশি সভা বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর মেলামেশা করবেন না মুজিবর ও ওই মহিলা। মীমাংসার পর ওই মহিলাকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যেতে উদ্যত হন তাঁর বাড়ির লোকেরা। কিন্তু আচমকাই তাঁদের উপর চড়াও হয় মুজিবরের গ্রামে‌র লোকজন।

Advertisement

আরও পড়ুন: জাগো বাংলার তহবিলের খোঁজে এ বার হানা দিল সিবিআই, জেরা মমতার সচিবকে​

আরও পড়ুন: নিশানায় বেকারত্ব রিপোর্ট! মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা রাহুলের, জবাবে ‘মুসোলিনি’ কটাক্ষ বিজেপির

পথ আটকে শুরু হয় বোমাবাজি। ধারালো অস্ত্র হাতেও কয়েক জন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বিরাট আকার ধারণ করে। তাতে তিন জন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইটাহার থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করে ঠিক কী ঘটেছিল জানার চেষ্টা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement