সন্ধ্যারতি শুরুর আগে শুক্রবার বেলুড় মঠে বেশ জোরে দু’টি শব্দ শোনা গিয়েছিল। তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই আওয়াজ চকোলেট বোমার। তবে কে বা কারা তা ফাটালো, তা নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি।
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে এ দিন দুপুরে মঠের দুই সাফাইকর্মীকে বালি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু আশানুরূপ সূত্র মেলেনি বলে দাবি পুলিশের।
বেলুড় মঠের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যারতি শুরুর আগে মঠের জুতো ঘরের পাশ থেকে পর পর দু’টি শব্দ শোনা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটকা ফেটেছে। শব্দে ঘরের একটি জানলার কাচ ভাঙলেও কেউ হতাহত হননি। এ দিন বেলুড় মঠের তরফে স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, ‘‘বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে পুলিশকে তদন্ত করতে অনুরোধ করেছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’’
ঘটনার পরে বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফোন করে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসনের তরফে বেলুড় মঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান স্বামী শুভকরানন্দ। এ দিন ঘটনার খোঁজ নিতে বেলুড় মঠে আসেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে বোমার সুতো, রাংতা সংগ্রহ করা হয়। পুলিশের অনুমান, জনবহুল মঠ চত্বরে যে বা যাঁরা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, মঠ চত্বরের সমস্ত জায়গা ভাল করে চেনেন তাঁরা। কারণ, মঠের সর্বত্র সিসিটিভি থাকলেও ওই দু’টি ঘরের মাঝে সরু এক ফালি জায়গায় সিসিটিভি নেই। তবুও পুলিশ সিসিটিভির সব ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এ দিনও হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রাণাডে-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা বেলুড় মঠে আসেন।