ছোটদের হাতে অস্ত্র মিছিলে

রবিবার বজরং দলের রামনবমীর মিছিলে পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানা, নামোপাড়া, মধ্যবাজার, চকবাজার প্রভৃতি এলাকায় নজরে আসে কয়েক জন নাবালক বড়দের মতোই তরোয়ালের মতো ধারাল অস্ত্র নিয়ে হাঁটছে। পরে অবশ্য তাদের হাত থেকে অস্ত্রগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ০০:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

অস্ত্র হাতে পুরুলিয়া শহরের পথে নামল ছোটরা। যা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন— ছোটদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হল কী করে? রবিবার বজরং দলের রামনবমীর মিছিলে পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানা, নামোপাড়া, মধ্যবাজার, চকবাজার প্রভৃতি এলাকায় নজরে আসে কয়েক জন নাবালক বড়দের মতোই তরোয়ালের মতো ধারাল অস্ত্র নিয়ে হাঁটছে। পরে অবশ্য তাদের হাত থেকে অস্ত্রগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

বস্তুত, রামনবমীর মিছিলে শিশুদের হাতে যাতে অস্ত্র না থাকে, সেই মর্মে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়েছিল রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। এ দিন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘মিছিলে ছোটদের হাতে অস্ত্র দেখা গিয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা সরিয়েও দেওয়া হয়। এ জন্য মিছিলের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।’’

বিজেপি-র জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীও ওই মিছিলে ছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘বজরং দলের ওই মিছিল আমিও ছিলাম। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা পরম্পরা। তা ছাড়া বিভিন্ন উৎসবেও অনেকেই অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেন। দেখতে হবে অস্ত্রের অপব্যবহার হচ্ছে কি না। এ দিন তো তা হয়নি। কয়েকটা ছোট ছেলে অস্ত্র হাতে যদি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে যোগ দিতে চায়, আমরা বারণ করতে পারি না।’’ বজরং দলের জেলা সহ-সভাপতি গৌরব সিংহ দাবি করেন, ‘‘আমরা কাউকে অস্ত্র দিইনি। যাঁদের হাতে ছিল, তারা নিজেরাই এনেছিল।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় থাকা একটা দল যদি অস্ত্র হাতে মিছিল করে এ ভাবে উস্কানি দেয়, তাহলে কী বলব?’’

Advertisement

মানবাজার থানার পাথরমহড়া গ্রামের মোড় থেকে রাম এবং হনুমানের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়। ছিলেন বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। লাঠিখেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। রঘুনাথপুরে পুরসভা ও তৃণমূলের উদ্যোগে হল শান্তি সম্প্রীতি মিছিল। মূলত পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই মিছিল হয়।

বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শহরেও শাসকদল ও বিজেপি-র কর্মীদের পৃথক মিছিল বেরোয়। ছোটরা রাম, সীতা, লক্ষ্ণণ, হনুমান প্রভৃতি রামায়ণের চরিত্র সেজে শোভাযাত্রায় ছিল। সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর পুরসভা প্রাঙ্গণে ছিল সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement