— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। অন্য দিকে, ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে মঙ্গলবার দুপুরে গণইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারেরা। এ হেন পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা কাটাতে এ বার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জল্পনা, সেই বৈঠকে থাকতে পারেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
মঙ্গলবার সকালেই নাটকীয় মোড় নিয়েছে আরজি করের আন্দোলন। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনশনে বসে থাকা ডাক্তারদের সমর্থনে গণইস্তফা দিয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা। একসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক। জল্পনা, মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম-সহ অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই পথে হাঁটতে পারেন। এর ফলে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঘিরেই তৈরি হতে পারে অচলাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকতে পারেন স্বাস্থ্যসচিবও।
দাবি আদায়ে গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার পরেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারেরা এ বার গণইস্তফা দেওয়ায় পুজোর মধ্যে ফের চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। আর এই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে প্রশাসনের।
সোমবার বিকালেও সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান মনোজ। আশ্বাস দেন, আগামী ১০ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ৯০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়ে যাবে। পন্থ বলেছিলেন, ‘‘আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। এবং কাজ যে হচ্ছে, সেটাও দেখা যাচ্ছে।’’ ঘটনাচক্রে, মুখ্যসচিবের সেই আশ্বাসের পরের দিনই গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারেরা! সরকারের উপর আরও ‘চাপ’ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এর আগেও একাধিক বৈঠক হয়েছে নবান্নে। নবান্নের এক আধিকারিক জানালেন, মঙ্গলবারও বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কী ধরনের বৈঠক, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। মনে করা হচ্ছে, পুজোর মুখে নতুন করে এই যে অচলাবস্থা তৈরি হল, তা থেকে মুক্তির পথ বার করতেই মঙ্গলবার ফের জরুরি বৈঠক ডাকল প্রশাসন।