Mamata Banerjee

‘১০০০ কোটি খরচ করেও জলে গিয়েছে সব’! মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙন নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী

নদীগর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নদীর ধারে যাঁরা বাড়ি করছেন, তাঁদের সতর্ক করুন। দেখুন, যাতে কেউ নদী থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি করতে না পারে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৫:৪২
Share:

মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙন নিয়ে উদ্বিগপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার ভাঙন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি গঙ্গাভাঙন কী ভাবে রোখা যায়, সে বিষয়ে সকলের পরামর্শ চান। পরে নিজেই এর উপায় বাতলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাভাঙন রুখতে কেন্দ্রের তরফে কোনও সহায়তা মেলে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করেছেন বর্ষার আগে গঙ্গার পার বাঁধাতে এবং নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়ায় গঙ্গার ভাঙন রুখতে সেচ দফতর, পরিবেশ দফতর, পঞ্চায়েত দফতরকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মমতা কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, রাজ্য সরকার ১০০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেললেও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। ১০০০ টাকা খরচ করেও যে কাজের কাজ হয়নি, সে বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫ বছরে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করেছি, সব টাকা জলে যাচ্ছে।” পার বাঁধানোর পরে তা যাতে নদীর জলের তোড়ে ধুয়ে যেতে না পারে, তার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা এড়াতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের বলেন, “নদীর ধারে যাঁরা বাড়ি করছেন, তাঁদের সতর্ক করুন। দেখুন, যাতে কেউ নদী থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি করতে না পারে।” যাঁরা গঙ্গাভাঙনের ফলে বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের সরকারের তরফে পাট্টা দিয়ে জমি দেওয়া বা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানান তিনি। পরিবেশ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যারোধী ভেটিভার ঘাস এবং ম্যানগ্রোভ চারা রোপণের নির্দেশ দেন তিনি। বর্ষার আগে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “এমন ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করান, যিনি অন্তত ২০ বছরের দায়িত্ব নেবেন। শুধু বোল্ডার ফেলে চলে যাবে, এমনটা করলে হবে না।” ঠিকাদারদের কাজে নজর রাখার দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন জেলাশাসককে।

তবে গঙ্গাভাঙনের সমস্যা যে দীর্ঘস্থায়ী, সে কথা মেনে নিয়ে এ বিষয়ে পাকাপাকি সমাধানসূত্র বার করার জন্য নীতি আয়োগের সঙ্গে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জ কিংবা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের তরফে এই বিষয়ে কোনও সহায়তা পাওয়া যায় কি না, তা-ও যাচাই করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement