দেবজিতের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা
বিজেপির নবান্ন অভিযানে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কলকাতা পুলিশের এসি (সেন্ট্রাল) দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে যান। সেখানে উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দেবজিতের সঙ্গে তিনি মিনিট পাঁচেক কথাও বলেন। তার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান মমতা। ঘটনাচক্রে, গত সপ্তাহেই এসএসকেএমে এসে দেবজিতের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের কেবিনে নিজের বেডে বসে রয়েছেন দেবজিৎ। আর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দেবজিতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়েও কোনও কথা বলেননি মমতা।
গত সপ্তাহে মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে জখম হন দেবজিৎ। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি এসি পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্তা। গত বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গুন্ডামি’র অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ শান্তিপূর্ণ আচরণ করলেও বিনা প্ররোচনায় ইটপাটকেল ছুড়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।’’ পাশাপাশি, পুলিশকর্মী-আধিকারিকদের ধৈর্য, সংযম এবং সংবেদনশীলতার প্রশংসাও করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘উত্তেজক পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষে গুলি চালানো সহজ কাজ হলেও পুলিশ তা করেনি। আপনাদের জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।’’
বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতায় ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময় তিন দিনের দুই মেদিনীপুর সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই গত বুধবার নবান্ন অভিযানে অশান্তির ঘটনা নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি এ-ও বার্তা দেন, পুলিশ চাইলেই নবান্ন অভিযানে গুলি চালাতে পারত। মমতার কথায়, ‘‘অনেক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। দেবজিৎকে ওরা কী ভাবে মেরেছে! ওর অপারেশন করাতে হবে! কিন্তু তার পরেও পুলিশ গুলি চালায়নি। চাইলেই পুলিশ গুলি চালাতে পারত। কিন্তু আমি তা মনে করি না। তা কাম্যও নয়। পুলিশ যথেষ্ট সংযত ছিল। তবে যারা অশান্তি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।’’ বুধবার অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি মমতা।