টিকা না পেয়ে বিশৃঙ্খলা নিজস্ব চিত্র
টিকা না পেয়ে বিশৃঙ্খলা বারাসতের হাটখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার পুরসভার উদ্যোগে টিকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। রাত তিনটে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকে। অভিযোগ, ২৩০ জনকে টিকা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় বৃহস্পতিবার আর টিকা দেওয়া হবে না।
এর পরই টিকা না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। অনেকের অভিযোগ, কুপন দেওয়া হলেও তাঁদের টিকা দেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে বারাসত থানার পুলিশ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের সবাইকে কুপন দেওয়া হবে। সবাই সোমবার টিকা পাবেন।
এদিকে, রাত থেকে টিকার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পরেও টিকা না পাওয়াতে উত্তেজনা হুগলির উত্তরপাড়ায়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হয় পুলিশ। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরপাড়া পুরসভার গণভবনে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা দেওয়ার কথা মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাই রাত থেকেই লাইন দেন লোকজন। যদিও সকাল হতেই দেখতে পাওয়া যায় পুরসভার তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা, টিকার জন্য লাইনে দাঁড়াবেন না। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার টিকা পাওয়া যাবে না।
নোটিস দেখেই উত্তেজেনা ছড়ায়। অনেকের অভিযোগ, যেদিন খুশি টিকাকরণ হচ্ছে। অনেক সময়, নোটিস দিয়ে বলা হচ্ছে টিকা দেওয়া হবে না, অথচ পরে বেলার দিকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নিতে আসা মহুয়া দেবনাথ বলেন, ‘‘তিন তারিখে বলল টিকা দেওয়া হবে। লাইন দিলাম কিন্তু পেলাম না। ভিতরে ভিতরে বিভিন্ন লোককে টিকা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
এই বিষয়ে উত্তরপাড়া পুরসভার আধিকারিক সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘‘টিকার জোগান না থাকায় আজ দেওয়া হবে না। উত্তরপাড়া পুরসভা ও মহামায়া হাসপাতালে শিবির চলছে। আমরা আগের দিন জানিয়ে দিই কবে টিকা দেওয়া হবে। তাও কিছু লোক সকালে থেকে লাইন দেন।’’ পুর-প্রশাসক দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘কেন্দ্র যা টিকা পাঠাচ্ছে, তাতে সব জায়গাতেই এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের পুরসভার জন্য যা বরাদ্দ আসছে, তাই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাতেও কুলোচ্ছে না। প্রথম টিকার জন্য যাঁরা লাইন দিচ্ছেন তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। কবে কতজন পাবে তাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবুও বহু মানুষ ভিড় করছেন।’’